প্রতিনিধি, রাজশাহী
কেনার দুই বছর পর অবশেষে রোগী বহন শুরু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দেড় কোটি টাকার একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ থেকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), লাইফ সাপোর্টসহ ৪০ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা আছে অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে। ২০১৯ সালে মেসার্স ফেরিটেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইতালি থেকে পাঁচটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স এনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সরবরাহ করে। এর একটি পায় রামেক হাসপাতাল। কিন্তু ব্যবহারের নীতিমালা না থাকায় এবং চিকিৎসক-নার্সের সংকটে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছিল না। হাসপাতালের গ্যারেজেই পড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি।
এ নিয়ে গত ৩০ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর অন্যান্য গণমাধ্যমও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রামেক হাসপাতালকে একটি চিঠি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার একজন রোগীকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নেওয়া হলো। ওই রোগীর নাম লুৎফর রহমান। তিনি নওগাঁ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সটিতে রোগী বহন করার সময় একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স থাকতে হবে। তাঁদের একটা সম্মানী দেওয়া দরকার। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি রামেক হাসপাতালে আনার পর এই সম্মানী ঠিক করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠিতে একজন ব্রাদারকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং চালককে আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সটির ভাড়া নির্ধারণ করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এসব কিছুই হয়নি। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না।
তিনি জানান, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়ায় তাঁরা রোগী বহন শুরু করলেন। তবে এখনো এর কোনো নীতিমালা হয়নি। তাই সাধারণ অন্য অ্যাম্বুলেন্সের মতোও এর ভাড়া ধরা হচ্ছে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা। প্রথম দিন অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ এর একজন দক্ষ ব্রাদারকে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে ডিএ হিসেবে ৬০০-৭০০ টাকা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় তিনি কোনো টিএ পাবেন না।
উল্লেখ্য, অ্যাম্বুলেন্সটির দাম ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা। দুই বছর ধরে রামেক হাসপাতালের একজন চালক রোজ সকালে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন স্টার্ট দিতেন। মেডিকেল সরঞ্জামেও বৈদ্যুতিক সুইচ দিতেন। এভাবে যন্ত্রপাতি ঠিক রাখা হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তিনি দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেবেন। অবশেষে অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী বহন শুরু করল। অ্যাম্বুলেন্সে থাকার সময়ও সব ধরনের চিকিৎসা পাবেন হৃদ রোগের রোগীরা।
কেনার দুই বছর পর অবশেষে রোগী বহন শুরু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দেড় কোটি টাকার একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ থেকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), লাইফ সাপোর্টসহ ৪০ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা আছে অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে। ২০১৯ সালে মেসার্স ফেরিটেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইতালি থেকে পাঁচটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স এনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সরবরাহ করে। এর একটি পায় রামেক হাসপাতাল। কিন্তু ব্যবহারের নীতিমালা না থাকায় এবং চিকিৎসক-নার্সের সংকটে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছিল না। হাসপাতালের গ্যারেজেই পড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি।
এ নিয়ে গত ৩০ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর অন্যান্য গণমাধ্যমও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রামেক হাসপাতালকে একটি চিঠি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার একজন রোগীকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নেওয়া হলো। ওই রোগীর নাম লুৎফর রহমান। তিনি নওগাঁ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সটিতে রোগী বহন করার সময় একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স থাকতে হবে। তাঁদের একটা সম্মানী দেওয়া দরকার। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি রামেক হাসপাতালে আনার পর এই সম্মানী ঠিক করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠিতে একজন ব্রাদারকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং চালককে আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সটির ভাড়া নির্ধারণ করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এসব কিছুই হয়নি। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না।
তিনি জানান, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়ায় তাঁরা রোগী বহন শুরু করলেন। তবে এখনো এর কোনো নীতিমালা হয়নি। তাই সাধারণ অন্য অ্যাম্বুলেন্সের মতোও এর ভাড়া ধরা হচ্ছে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা। প্রথম দিন অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ এর একজন দক্ষ ব্রাদারকে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে ডিএ হিসেবে ৬০০-৭০০ টাকা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় তিনি কোনো টিএ পাবেন না।
উল্লেখ্য, অ্যাম্বুলেন্সটির দাম ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা। দুই বছর ধরে রামেক হাসপাতালের একজন চালক রোজ সকালে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন স্টার্ট দিতেন। মেডিকেল সরঞ্জামেও বৈদ্যুতিক সুইচ দিতেন। এভাবে যন্ত্রপাতি ঠিক রাখা হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তিনি দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেবেন। অবশেষে অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী বহন শুরু করল। অ্যাম্বুলেন্সে থাকার সময়ও সব ধরনের চিকিৎসা পাবেন হৃদ রোগের রোগীরা।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর আকার বৃদ্ধি এবং সংস্কারকাজ চলছে ধীর গতিতে। এদিকে নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারী তিনটি ইউনিয়নের মানুষ। বিকল্প হিসেবে কাঠের মই ব্যবহার করে সেতুতে উঠে হেঁটে পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
১১ মিনিট আগেচট্টগ্রামে আদালতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা
১৫ মিনিট আগেভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে এসে নীলফামারীতে গ্রেপ্তার হলেন চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
২৯ মিনিট আগেমাগুরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর পাড়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপরে নির্মিত ২ কোটি টাকার আরসিসি গার্ডার সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন সঠিক স্থানেও হয়নি। কবে সেতুর এই সম
৩০ মিনিট আগে