সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং থানার ভেতরে হট্টগোল করার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলামের ১০ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে বুধবার রাতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের নামে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই রাশেদুল আলম। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আসাদ সরকার, মো. কাশেম আলী, মো. মাসুদ রানা, মো. আসাদুল ইসলাম, মো. বাদল, মো. মারুফ তালুকদার, মো. মাহাতাব আলী, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. বিজয়, মো. ইমরান মিয়া। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে প্রচারণা চালানোর একপর্যায়ে চালা সাত রাস্তার মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার (দোয়াত-কলম) ও বদিউজ্জামান ফকিরের (মোটরসাইকেল) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর অভিযোগ দিতে বদিউজ্জামান ফকির থানায় আসেন। কিছুক্ষণ পরই আমিনুলের কর্মী-সমর্থকেরাও থানার ভেতরে ঢুকে উচ্চ স্বরে গালাগাল করতে থাকে এবং পরিবেশ নষ্ট করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। 

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার রাতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা থানায় এসে হট্টগোল শুরু করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়। পরে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ ঘটনায় এসআই রাশেদুল আলম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

এই উপজেলায় প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আমিনুল ইসলাম সরকার, বদিউজ্জামান ফকির ও মীর সিরাজুল ইসলাম।