চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বী রীতি অনুযায়ী বিয়েতে নারীদের সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে শাঁখা পরার চলন আদিকাল থেকে চলে আসছে। স্বামীর মঙ্গলের জন্য আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত সনাতন ধর্মের বিবাহিত নারীরা হাতে শাখা ব্যবহার করে আসছেন। বিয়ে হয়েছে অথচ হাতে শাখা নেই এমনটা কল্পনাতীত। তাই এর প্রয়োজন মেটাতে ও জীবিকার তাগিদের বংশপরম্পরায় পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়ালের ডেফলচড়া গ্রামে বাস করছেন শাঁখারীরা।
শাঁখারীরা জানান, সরকারি-বেসরকারিভাবে সহজ স্বত্বে ঋণ পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র শাঁখারীরা বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে অধিক সুদে ঋণ নেন। এর কিস্তি টানতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে ঋণের চাপে এক সময় ব্যবসা বাদ দিতে বাধ্য হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেফলচড়া গ্রামে এখনো ৩৭টি শাঁখারী পরিবার বসবাস করছে। তাদের মধ্যে শাঁখা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩০ পরিবার। বাকি পরিবারগুলো অন্য পেশায় চলে গেছে।
ওই গ্রামের শাঁখারী রাজকুমার সেন বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষেরাও এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা ভারত থেকে প্রতিটি শঙ্খ এক হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনি। সেটি থেকে তিন জোড়া শাখা তৈরি করা যায়। প্রকারভেদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফেরি করে প্রতি জোড়া শাখা ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।’
রাজকুমার সেন আরও বলেন, ডেফলচড়া গ্রামের অনেক শাঁখারী পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন। গত ১০ বছরে শঙ্খের দাম বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ। শাখার দাম বেড়ে গেলেও ক্রেতারা বেশি দাম দিতে চান না। ফলে তাঁদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
একই গ্রামের হারাধন সেন বলেন, ‘একসময় শাখায় নকশা তৈরি করে বিক্রি করতাম। টাকার অভাবে নিজে ব্যবসা বাদ দিয়েছি। এখন মজুরির বিনিময়ে মহাজনের কাজ করে দিই। আমি যান্ত্রিক মোটরের সাহায্যে মহাজনের শাখার মসৃণ করার কাজ করি। পরে তাঁরা সেই শাখায় নকশা করে বিক্রি করে।’
শাঁখারী বিকাশ কুমার ধরের সহধর্মিণী সীমা রানী জানান, বিয়ের আগে বাবা মায়ের কাছে শাখায় নকশা করার কাজ শেখেন তিনি। বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িতে এসে একই কাজটিই করছেন। প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য কাজ করার পাশাপাশি শাখায় নকশা করছেন তিনি। বিভিন্ন আকারের রেত দিয়ে ঘষে প্রতিদিন চিকন ৩০ থেকে ৩৫ জোড়া ও মোটা শাখা হলে ২৫ জোড়া শাখায় নকশা করতে পারেন সীমা রানী।
এ ব্যাপারে হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল করিম বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ডেফলচড়া গ্রামে শাঁখারীরা বসবাস করছেন। আমি আমার দিক থেকে সাহায্য সহযোগিতা করি। তবে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করলে তাঁদের উপকার হতো।’
সনাতন ধর্মাবলম্বী রীতি অনুযায়ী বিয়েতে নারীদের সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে শাঁখা পরার চলন আদিকাল থেকে চলে আসছে। স্বামীর মঙ্গলের জন্য আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত সনাতন ধর্মের বিবাহিত নারীরা হাতে শাখা ব্যবহার করে আসছেন। বিয়ে হয়েছে অথচ হাতে শাখা নেই এমনটা কল্পনাতীত। তাই এর প্রয়োজন মেটাতে ও জীবিকার তাগিদের বংশপরম্পরায় পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়ালের ডেফলচড়া গ্রামে বাস করছেন শাঁখারীরা।
শাঁখারীরা জানান, সরকারি-বেসরকারিভাবে সহজ স্বত্বে ঋণ পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র শাঁখারীরা বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে অধিক সুদে ঋণ নেন। এর কিস্তি টানতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে ঋণের চাপে এক সময় ব্যবসা বাদ দিতে বাধ্য হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেফলচড়া গ্রামে এখনো ৩৭টি শাঁখারী পরিবার বসবাস করছে। তাদের মধ্যে শাঁখা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩০ পরিবার। বাকি পরিবারগুলো অন্য পেশায় চলে গেছে।
ওই গ্রামের শাঁখারী রাজকুমার সেন বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষেরাও এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা ভারত থেকে প্রতিটি শঙ্খ এক হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনি। সেটি থেকে তিন জোড়া শাখা তৈরি করা যায়। প্রকারভেদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফেরি করে প্রতি জোড়া শাখা ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।’
রাজকুমার সেন আরও বলেন, ডেফলচড়া গ্রামের অনেক শাঁখারী পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন। গত ১০ বছরে শঙ্খের দাম বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ। শাখার দাম বেড়ে গেলেও ক্রেতারা বেশি দাম দিতে চান না। ফলে তাঁদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
একই গ্রামের হারাধন সেন বলেন, ‘একসময় শাখায় নকশা তৈরি করে বিক্রি করতাম। টাকার অভাবে নিজে ব্যবসা বাদ দিয়েছি। এখন মজুরির বিনিময়ে মহাজনের কাজ করে দিই। আমি যান্ত্রিক মোটরের সাহায্যে মহাজনের শাখার মসৃণ করার কাজ করি। পরে তাঁরা সেই শাখায় নকশা করে বিক্রি করে।’
শাঁখারী বিকাশ কুমার ধরের সহধর্মিণী সীমা রানী জানান, বিয়ের আগে বাবা মায়ের কাছে শাখায় নকশা করার কাজ শেখেন তিনি। বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িতে এসে একই কাজটিই করছেন। প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য কাজ করার পাশাপাশি শাখায় নকশা করছেন তিনি। বিভিন্ন আকারের রেত দিয়ে ঘষে প্রতিদিন চিকন ৩০ থেকে ৩৫ জোড়া ও মোটা শাখা হলে ২৫ জোড়া শাখায় নকশা করতে পারেন সীমা রানী।
এ ব্যাপারে হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল করিম বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ডেফলচড়া গ্রামে শাঁখারীরা বসবাস করছেন। আমি আমার দিক থেকে সাহায্য সহযোগিতা করি। তবে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করলে তাঁদের উপকার হতো।’
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২০ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৪৪ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে