বগুড়ায় হত্যা মামলা আপস না করায় বাদীর জামাইকে হত্যাচেষ্টা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৩১
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ২৩

বগুড়ায় হত্যা মামলা আপস না করায় বাদীর জামাইকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। হত্যাচেষ্টার শিকার রাকিবুল (২২) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বগুড়া সদরের দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কসংলগ্ন কর্ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লুৎফর রহমান মিন্টু ও কৃষক লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন আত্মগোপন করেছেন।

রাকিবুলের স্ত্রীর বড় ভাই রকি চৌধুরী জানান, রাকিবুল মানিকচক এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফ্যাক্টরি থেকে বের হওয়ার পরপরই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লুৎফর রহমান মিন্টু ও কৃষক লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন রাকিবুলকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এ খবর জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন খোঁজ করা শুরু করেন। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে রাকিবুলকে মানিকচক বন্দরের অদূরে কর্ণপুর এলাকায় এক জঙ্গলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রকি আরও জানান, গত বছরের ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর ছোট ভাই রোহান চৌধুরীকে বগুড়া জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে অপহরণ করে এলাকায় নিয়ে এসে পিটিয়ে হত্যা করা হয় লুৎফর রহমান মিন্টু ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে। লুৎফর রহমান মিন্টু বগুড়া পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আর গিয়াস উদ্দিন রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য, রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি এবং মিন্টুর আপন মামা। রোহান হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা কামাল চৌধুরী বাদী হয়ে লুৎফর রহমান মিন্টু, গিয়াস উদ্দিনসহ ১১ জনের নামে মামলা করেন। সেই মামলার ওই দুজন দীর্ঘ কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এর পর থেকেই মামলা আপসের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। 

রকি চৌধুরী বলেন, ‘মামলা আপসের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ভগ্নিপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমরা ঘটনা জানতে পেরে খোঁজ করা শুরু করলে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ বলেছে আগে চিকিৎসা করান, পরে অভিযোগ দেন।’ 

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মিন্টু ও গিয়াস মেম্বারকে দিনের বেলা দেখা যায় না। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের মানিকচক বাজারে দেখা যেত। এদিকে লুৎফর রহমান মিন্টু ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ শুক্রবার তাঁদের বাড়িকে গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত