মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
‘গন্ডগোলের সময় স্বামীকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে গুলি কইরা মাইরা ফেলছে মিলিটারি বাহিনী। সে কথা মনে উঠলে এখনো গায়ের পশম দাঁড় হয়ে যায় বাপু। তহন আমার চার সন্তান। ক্ষুধা আর অভাব, তাই মেয়ে দুটোকে ভারতে কাজে দত্তক দিছুনু। তারা সেখানেই থাকে এখনো। দুই ছেলে বাড়িতে। একজন আবার প্রতিবন্ধী। জমিজমা কিচ্ছু না, তাতে দুঃখ নেই। কিন্তু স্বামী বাইচা থাকলে আমার বেড়ান (ভিক্ষা) কইরা খাওন লাগত না। এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ৯০ বছরের শহীদ বিধবা শ্রীমতী পঞ্চমী দাস।
তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যুগীশো হিন্দুপাড়া গ্রামে ছোট্ট একটি টিনের ঢোপ ঘরে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধকালে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় যুগীশো গ্রামের একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে মুক্তিকামী ৪২ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। সেই গণহত্যায় শহীদ হন পঞ্চমী দাসের স্বামী শীতল দাস।
এরপর কেটে গেছে শ্রীমতী পঞ্চমী দাসের জীবনসংগ্রামের ৫৩ বছর। সন্তানদের মানুষ করতে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও এখনো গাঁয়ে গাঁয়ে ভিক্ষা করে বেড়ান এই শহীদ বিধবা। শুধু শ্রীমতী পঞ্চমী দাস নন, এই গণহত্যায় ৪২ জন শহীদের মধ্যে এখনো শহীদ লগেন কর্মকারের স্ত্রী যমুনা কর্মকার (৯৫), নিবারণের স্ত্রী শ্রী সুন্দরী (৯০) ও বিভারণের স্ত্রী নিয়ত রানী (৯২) বেঁচে আছেন। তাঁদেরও দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে।
গতকাল মঙ্গলবার যুগীশো গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাতে ভিক্ষার ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রীমতী পঞ্চমী দাস (৯০)। যেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে তাঁর শরীর। বর্তমানে হাঁটাচলা করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাঁর। থাকেন ছোট্ট টিনের ঢোপঘরে। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে আবার প্রতিবন্ধী।
পঞ্চমী দাসের নাতি কনক দাস বলেন, ‘দাদি সকাল হলেই গাঁয়ে গাঁয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে পড়েন। দাদাকে হত্যার পর দাদি এভাবেই ৫৩ বছর ধরে ভিক্ষা করছেন। কিন্তু তেমন সহযোগিতা পাননি। শুধু বয়স্ক ভাতার টাকা পান। এ ছাড়া মুজিব সরকারের আমলে এক বান্ডিল ঢেউটিন ও দুটি কম্বল এবং ২০১৫ সালে ১০ কেজি চাল পেয়েছেন। তারপর আর কেউ খোঁজ রাখেনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সরকার যদি দাদির জন্য একটি বাড়ি তৈরি করে দিত, তাহলে তিনি শান্তিতে ঘুমাতে পারতেন।’
এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউএনও ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, ‘শ্রীমতী পঞ্চমী দাসের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি সবে যোগদান করেছি। দ্রুত খোঁজখবর নেওয়া হবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা সরকারি ঘর বরাদ্দ হলে তাঁর বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
‘গন্ডগোলের সময় স্বামীকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে গুলি কইরা মাইরা ফেলছে মিলিটারি বাহিনী। সে কথা মনে উঠলে এখনো গায়ের পশম দাঁড় হয়ে যায় বাপু। তহন আমার চার সন্তান। ক্ষুধা আর অভাব, তাই মেয়ে দুটোকে ভারতে কাজে দত্তক দিছুনু। তারা সেখানেই থাকে এখনো। দুই ছেলে বাড়িতে। একজন আবার প্রতিবন্ধী। জমিজমা কিচ্ছু না, তাতে দুঃখ নেই। কিন্তু স্বামী বাইচা থাকলে আমার বেড়ান (ভিক্ষা) কইরা খাওন লাগত না। এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ৯০ বছরের শহীদ বিধবা শ্রীমতী পঞ্চমী দাস।
তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যুগীশো হিন্দুপাড়া গ্রামে ছোট্ট একটি টিনের ঢোপ ঘরে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধকালে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় যুগীশো গ্রামের একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে মুক্তিকামী ৪২ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। সেই গণহত্যায় শহীদ হন পঞ্চমী দাসের স্বামী শীতল দাস।
এরপর কেটে গেছে শ্রীমতী পঞ্চমী দাসের জীবনসংগ্রামের ৫৩ বছর। সন্তানদের মানুষ করতে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও এখনো গাঁয়ে গাঁয়ে ভিক্ষা করে বেড়ান এই শহীদ বিধবা। শুধু শ্রীমতী পঞ্চমী দাস নন, এই গণহত্যায় ৪২ জন শহীদের মধ্যে এখনো শহীদ লগেন কর্মকারের স্ত্রী যমুনা কর্মকার (৯৫), নিবারণের স্ত্রী শ্রী সুন্দরী (৯০) ও বিভারণের স্ত্রী নিয়ত রানী (৯২) বেঁচে আছেন। তাঁদেরও দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে।
গতকাল মঙ্গলবার যুগীশো গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাতে ভিক্ষার ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রীমতী পঞ্চমী দাস (৯০)। যেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে তাঁর শরীর। বর্তমানে হাঁটাচলা করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাঁর। থাকেন ছোট্ট টিনের ঢোপঘরে। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে আবার প্রতিবন্ধী।
পঞ্চমী দাসের নাতি কনক দাস বলেন, ‘দাদি সকাল হলেই গাঁয়ে গাঁয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে পড়েন। দাদাকে হত্যার পর দাদি এভাবেই ৫৩ বছর ধরে ভিক্ষা করছেন। কিন্তু তেমন সহযোগিতা পাননি। শুধু বয়স্ক ভাতার টাকা পান। এ ছাড়া মুজিব সরকারের আমলে এক বান্ডিল ঢেউটিন ও দুটি কম্বল এবং ২০১৫ সালে ১০ কেজি চাল পেয়েছেন। তারপর আর কেউ খোঁজ রাখেনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সরকার যদি দাদির জন্য একটি বাড়ি তৈরি করে দিত, তাহলে তিনি শান্তিতে ঘুমাতে পারতেন।’
এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউএনও ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, ‘শ্রীমতী পঞ্চমী দাসের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি সবে যোগদান করেছি। দ্রুত খোঁজখবর নেওয়া হবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা সরকারি ঘর বরাদ্দ হলে তাঁর বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে যত রকম আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা-ই করছে সরকার।
২ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের বাতপুকুরিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে রফিকুল ইসলাম রুবেল (৩৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৭ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বংশাই নদীর ত্রিমোহন ও লৌহজং নদীর পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন উপজ
১৭ মিনিট আগেমিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনা থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তল্লাশির কথা বলে কার্গোগুলো আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
২০ মিনিট আগে