পাবনা প্রতিনিধি
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনায় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার চাটমোহর ও বেড়া উপজেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, চাটমোহর উপজেলায় গুনাইগাছা, পৈলানপুর, ছাইকোলা, লাঙলমোড়া ও চরনবীন গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায় নৌকার সমর্থকেরা। এর মধ্যে লাঙলমোড়া গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুর রহমান, চরনবীন গ্রামের নাজমুল হোসেনের বাড়ি রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা বা আমার কোনো লোকজন কারও বাড়িতে হামলা করেনি। কারও বাড়ি ভাঙচুরের খবর জানা নাই। এমন কোনো ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেনি।’
এদিকে, গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুনপাড়া ও পৈলানপুর গ্রামের ময়েজ মাস্টার, হাসান মাস্টার, বান্টুসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে ও আজ সোমবার সকালে এসব হামলা হয়।
হামলায় নতুনপাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিন, আহসান আলী, ময়নাল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আমুদ আলী আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে গুনাইগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
একই উপজেলার ফৈলজানা পবাখালী গ্রামে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নৌকার সমর্থকদের মারধরে আহত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার সমর্থক। এর মধ্যে সালাউদ্দিন ও রুহুল আমিন লিংকন নামের দুজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায় ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকেরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ আহতদের।
এ ছাড়া ফৈলজানা গ্রামে আজ সোমবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আশরাফুল ইসলাম নামের নৌকার এক সমর্থক ছুরিকাহত হয়েছেন বলা জানা গেছে। তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে ছেলেপেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে এটুকু শুনেছি। সোমবার সকালে উঠে শুনি মারামারি হইছে। একজনকে চাকু মারছে। এর মধ্যে আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার বেড়া উপজেলার ৮-১০টি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সকালে পাবনা-১ আসনের বেড়া পৌরসভা এলাকার সানিলা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে ওঠে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবিত উপজেলা কমিটির স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ দুলাল অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থীর জয়লাভের পর থেকেই পাবনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সকালে সানিলা গ্রামে নৌকার সমর্থকেরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা করে। এ সময় হামলায় একজন নারীসহ চারজন আহত হয়। আহতদের নাম জানা যায়নি।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এসব ঘটনা জানার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগে দেয়নি, তবে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মকবুল হোসেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ। আর পাবনা-১ আসনে (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) নৌকার প্রার্থী হিসেবে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনায় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার চাটমোহর ও বেড়া উপজেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, চাটমোহর উপজেলায় গুনাইগাছা, পৈলানপুর, ছাইকোলা, লাঙলমোড়া ও চরনবীন গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায় নৌকার সমর্থকেরা। এর মধ্যে লাঙলমোড়া গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুর রহমান, চরনবীন গ্রামের নাজমুল হোসেনের বাড়ি রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা বা আমার কোনো লোকজন কারও বাড়িতে হামলা করেনি। কারও বাড়ি ভাঙচুরের খবর জানা নাই। এমন কোনো ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেনি।’
এদিকে, গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুনপাড়া ও পৈলানপুর গ্রামের ময়েজ মাস্টার, হাসান মাস্টার, বান্টুসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে ও আজ সোমবার সকালে এসব হামলা হয়।
হামলায় নতুনপাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিন, আহসান আলী, ময়নাল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আমুদ আলী আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে গুনাইগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
একই উপজেলার ফৈলজানা পবাখালী গ্রামে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নৌকার সমর্থকদের মারধরে আহত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার সমর্থক। এর মধ্যে সালাউদ্দিন ও রুহুল আমিন লিংকন নামের দুজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায় ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকেরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ আহতদের।
এ ছাড়া ফৈলজানা গ্রামে আজ সোমবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আশরাফুল ইসলাম নামের নৌকার এক সমর্থক ছুরিকাহত হয়েছেন বলা জানা গেছে। তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে ছেলেপেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে এটুকু শুনেছি। সোমবার সকালে উঠে শুনি মারামারি হইছে। একজনকে চাকু মারছে। এর মধ্যে আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার বেড়া উপজেলার ৮-১০টি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সকালে পাবনা-১ আসনের বেড়া পৌরসভা এলাকার সানিলা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে ওঠে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবিত উপজেলা কমিটির স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ দুলাল অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থীর জয়লাভের পর থেকেই পাবনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সকালে সানিলা গ্রামে নৌকার সমর্থকেরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা করে। এ সময় হামলায় একজন নারীসহ চারজন আহত হয়। আহতদের নাম জানা যায়নি।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এসব ঘটনা জানার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগে দেয়নি, তবে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মকবুল হোসেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ। আর পাবনা-১ আসনে (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) নৌকার প্রার্থী হিসেবে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
রাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
২৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগে