নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, সড়কের নির্মাণকাজে স্থানীয়দের বাধা

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ২৯
Thumbnail image

রাজশাহীর পুঠিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি সড়কের নির্মাণকাজ স্থগিত করা হয়েছে। সড়কটি উপজেলার মোল্লাপাড়া থেকে সাধনপুর পর্যন্ত। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয়রা সড়কটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) যোগসাজশে ঠিকাদার সড়কে নিম্নমানের ইট ও সুরকি ব্যবহার করছেন। তাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, ‘অনিয়মের কারণেই সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কে যেসব মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে, তা তুলে নিতে বলা হয়েছে।’

নির্মাণকাজের তদারকিতে গাফিলতির কথা জানতে চাইলে প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান আরও বলেন, ‘কাজের সাইডে সব সময় আমাদের লোকজন থাকে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।’

 এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে উপজেলার মোল্লাপাড়া বাজার থেকে সাধনপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণসহ কয়েকটি স্থানে দেয়াল পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কাজটির দায়িত্ব পায় রাজশাহী মহানগরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসিম এন্টারপ্রাইজ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন স্থানীয়রা। এ সময় কথা হয় ঠিকাদারের পক্ষের ফোরম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে।

জাফর আলী নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সড়কে কোনো ইটের সুরকি দেওয়া হচ্ছে না। ঢালা হচ্ছে পচা ইটের রাবিশ। এসব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কে ভাঙন শুরু হবে। আর এসব কারণেই গ্রামের লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফিলতির কারণে ঠিকাদার এই সড়কের নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হলেও মেলেনি কোনো সুফল। ঈদের আগে গত মঙ্গলবার ছিল দপ্তরের শেষ কর্মদিবস। এরপর প্রায় ছয় থেকে সাত দিন ছুটি। আর এই সুযোগে ঠিকাদারের লোকেরা নিম্নমানের ইট-খোয়া দিয়ে কাজ শেষ করতে চাইছেন।’

 ঠিকাদারের সাইড ফোরম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার আমাদের যেসব উপকরণ সরবরাহ করছেন, তা দিয়েই কাজ হচ্ছে। এলাকার লোকজন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।’

প্রকৌশল বিভাগের লোকজন ছাড়া ছুটির দিনে কীভাবে কাজ চলছে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে।’

এসব অভিযোগ নিয়ে জানতে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসিম এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়াসিমুল বারির মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত