নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা এমপিকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জেতানোর অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশার হাত উঁচিয়ে এ অঙ্গীকার করেন তাঁরা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সদরের এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকে তিনি জোট থেকে মনোনয়ন নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবারও তিনি নৌকার টিকিট পেয়েছেন। একই আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তাই আজ (শুক্রবার) স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেওয়ার জন্য মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা ছাড়াও মহানগরীর ওয়ার্ড-মহল্লা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, তাঁরা নৌকার পক্ষে, কেউ নৌকার বিপক্ষে নন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় নৌকার জন্য কাজ করছেন। রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু ফজলে হোসেন বাদশা যদি নৌকা প্রতীক পেয়ে তাঁদের নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকেই না ডাকেন, তাহলে কি তাঁদের ঠেকা পড়েছে যে তাঁর বাসায় গিয়ে তাঁর জন্য কাজ করতে হবে? তখন নিচ থেকে নেতা-কর্মীরা ‘না’ বলে চিৎকার দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে যেখানেই ডাকা হয়, সেখানেই যাই। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা আমাকে নির্বাচন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি। এখন আমরা যদি আপনাদের মতামত নিয়ে দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিই, তাহলে কোনো অপরাধ হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে না। এ জন্য যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জবাব দিতে হয়, তাহলে সেই জবাব আমি দেব, সেই জবাব দেবেন খায়রুজ্জামান লিটন।’
মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘আমরা যখন নেমে গেছি, তখন আমাদের দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে বিজয়ী করে আনতে হবে। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই। আমরা ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে। তাকে আমরা দেখিয়ে বিদায় করব যে রাজশাহীতে তাঁর কোনো জনসমর্থন নাই।’
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিলাম। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই, ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে, ওয়ার্কার্স পার্টির বিপক্ষে। তারা দেখাক তাদের কত ভোট আছে। আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করে নিয়ে আসার দায়িত্ব রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘এই ফজলে হোসেন বাদশা নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রিয় নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকে কটূক্তি করেছিল। তিনি এখনো রাজশাহীতে আছেন—এটা তাঁর ভাগ্য।’ তিনি ফজলে হোসেন বাদশাকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহা বলেন, ‘১৫ বছর দরে ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক দেওয়াতে নৌকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা এমপিকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জেতানোর অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশার হাত উঁচিয়ে এ অঙ্গীকার করেন তাঁরা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সদরের এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকে তিনি জোট থেকে মনোনয়ন নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবারও তিনি নৌকার টিকিট পেয়েছেন। একই আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তাই আজ (শুক্রবার) স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেওয়ার জন্য মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা ছাড়াও মহানগরীর ওয়ার্ড-মহল্লা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, তাঁরা নৌকার পক্ষে, কেউ নৌকার বিপক্ষে নন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় নৌকার জন্য কাজ করছেন। রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু ফজলে হোসেন বাদশা যদি নৌকা প্রতীক পেয়ে তাঁদের নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকেই না ডাকেন, তাহলে কি তাঁদের ঠেকা পড়েছে যে তাঁর বাসায় গিয়ে তাঁর জন্য কাজ করতে হবে? তখন নিচ থেকে নেতা-কর্মীরা ‘না’ বলে চিৎকার দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে যেখানেই ডাকা হয়, সেখানেই যাই। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা আমাকে নির্বাচন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি। এখন আমরা যদি আপনাদের মতামত নিয়ে দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিই, তাহলে কোনো অপরাধ হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে না। এ জন্য যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জবাব দিতে হয়, তাহলে সেই জবাব আমি দেব, সেই জবাব দেবেন খায়রুজ্জামান লিটন।’
মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘আমরা যখন নেমে গেছি, তখন আমাদের দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে বিজয়ী করে আনতে হবে। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই। আমরা ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে। তাকে আমরা দেখিয়ে বিদায় করব যে রাজশাহীতে তাঁর কোনো জনসমর্থন নাই।’
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিলাম। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই, ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে, ওয়ার্কার্স পার্টির বিপক্ষে। তারা দেখাক তাদের কত ভোট আছে। আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করে নিয়ে আসার দায়িত্ব রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘এই ফজলে হোসেন বাদশা নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রিয় নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকে কটূক্তি করেছিল। তিনি এখনো রাজশাহীতে আছেন—এটা তাঁর ভাগ্য।’ তিনি ফজলে হোসেন বাদশাকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহা বলেন, ‘১৫ বছর দরে ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক দেওয়াতে নৌকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে