ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি শনাক্তে তদন্ত কমিটি

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২২, ১৭: ০৯

ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি শনাক্ত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী-ঢাকা রুটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তিনটি টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন। এসব টিকিট কালোবাজারে বেশি দামে কেনা বলে যাত্রীরা তাঁকে জানিয়েছিলেন।

এই টিকিট কে সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করেছেন তা জানতেই রোববার জিএম অসীম কুমার তালুকদার এক অফিস আদেশে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটির আহ্বায়ক হলেন পশ্চিম রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুণ্ডু। কমিটির সদস্য হলেন জেলা সংকেত প্রকৌশলী (ডিএসই সদর) আহমেদ ইসতিয়াক জহুর।

জিএম অসীম কুমার তালুকদার এই কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তাঁর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে তিনি জানতে পারবেন কে টিকিট কেটেছিলেন। তারপর ব্যবস্থা নেবেন। টিকিটি কালোবাজারি চক্রকে শনাক্ত করতেই এই তদন্ত কমিটি বলে জানান তিনি।

জিএম জানান, ভ্রমণের আগের দিন এক ব্যক্তি ফেসবুকে টিকিটের ছবি দিয়ে জানান যে, তিনগুণ দামে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তিনি ভেবেছেন এই টিকিটের উৎস খুঁজলেই কালোবাজারি একটি চক্রকে পাওয়া যাবে। তাই সেদিন তিনি নিজেই ট্রেনটিতে গিয়ে ওই যাত্রীদের কাছ থেকে তিনটি টিকিট সংগ্রহ করেন। এখন টিকিট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। রেলের নতুন স্লোগান হলো- ‘টিকিট যাঁর, ভ্রমণ তাঁর’। অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্রে কেনা টিকিটে ভ্রমণ করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। তাই সেদিন কালোবাজারে টিকিট নিয়ে ভ্রমণ করা যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নতুন টিকিট দেওয়া হয়েছিল।

অসীম কুমার তালুকদার জানান, তদন্ত কমিটি দেখবে কার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ওই তিনটি টিকিট কাটা হয়েছিল। তাহলেই জানা যাবে কে টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এই চক্রে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে বেরিয়ে এলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যদি তিনি রেলের কেউ না হন তাহলে তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত