ভাঙ্গুড়ায় শোয়ার ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ০০
Thumbnail image

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শোয়ার ঘর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার অষ্টমনীষা ইউনিয়নের বড় বিশাকোল বাঁধপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

গৃহবধূর নাম সুমাইয়া আক্তার সুমি (২৩)। তিনি ওই গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী জাকিরুল ইসলামের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার মানিকদহ গ্রামের বিশু প্রামাণিকের মেয়ে। তাঁর তিন বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। 

পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

থানা-পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, আট বছর আগে পারিবারিকভাবে সুমি ও জাকিরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমির সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগেই থাকত। ১০-১২ দিন আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে গালিগালাজ ও মারপিট করলে তিনি রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে স্বামী জাকিরুল গিয়ে সুমিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। 

ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে সুমিকে তাঁর শোয়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তারা সুমির মরদেহ নিচে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রাত ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

গৃহবধূ সুমির মামা আবু তাহের মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে গালিগালাজ ও মারপিট করত। সোমবার বিকেলে খবর আসে, সুমি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ 

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত