বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় ৫০ টাকা বকশিশ কম পেয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলে বিকাশ বিশ্বাস নামের এক রোগীর মারা যাওয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী আসাদুল ইসলাম মীর ধলু। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা মাহমুদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত ধলুর বরাত দিয়ে এসআই ওসমান গণি জানান, জবানবন্দিতে ধলু রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ধলু বলেন, 'আমি ২০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে হাসপাতালে কাজ করি। আমার দায়িত্ব জরুরি বিভাগ আসা রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া। ঘটনার দিন ৯টার দিকে এই রোগী আসলে তাকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার পর সিলিন্ডারের অক্সিজেনসহ রোগীকে তৃতীয় তলায় সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে ওয়ার্ডে জায়গা না হলে লিফটের কাছে মেঝেতে রাখি। নিয়ম হলো, ওয়ার্ডে পৌঁছার পর ওয়ার্ড থেকেই অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে আর জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ২০০ টাকা বকশিশ চাই রোগীর স্বজনদের কাছে। তারা ৫০ টাকা কম দিলে আমি রেগে যাই। এরপর ওয়ার্ড থেকে অক্সিজেন আসার আগেই আমি জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নিই। এরপর রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে আমি অক্সিজেন না লাগিয়েই সিলিন্ডার রেখে চলে আসি।' জবানবন্দি শেষে ধলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে ধলুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে বিকাশের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা করে শজিমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ধলু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমিরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মৃত জয়নুদ্দিন মীর।
মৃত বিকাশ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে গ্রিল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন।
গত মঙ্গলবার রাতে বকশিশ কম পেয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ায় বিকাশের মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী ধলু রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন ধলু। র্যাব তাকে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় তাঁকে হস্তান্তর করেন। শুক্রবার আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিকাশ চন্দ্র কর্মকার। রাতে তাঁকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। শজিমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে (নিচ তলা) চিকিৎসা শেষে বিকাশের মাথায় ব্যান্ডেজ এবং মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে স্ট্রেচারে করে সার্জারি বিভাগে (তৃতীয় তলা) নেন হাসপাতালের কর্মচারী ধলু। তৃতীয় তলায় গিয়ে বিকাশের বাবা বিশু চন্দ্র কর্মকারের কাছে বকশিশ হিসেবে ২০০ টাকা দাবি করেন ধলু। ওই সময় বিশু কর্মচারী ধলুকে ১৫০ টাকা দেন। কিন্তু ৫০ টাকা কম পেয়ে ধলু ক্ষিপ্ত হয়ে মুমূর্ষু রোগী বিকাশের অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেন। এতে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বিকাশের মৃত্যু হয়। ওই সময় হাসপাতালে অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে বিকাশের মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে পালিয়ে যান ধলু।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওসমান গনি বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির দেওয়ার পর ধলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ায় ৫০ টাকা বকশিশ কম পেয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলে বিকাশ বিশ্বাস নামের এক রোগীর মারা যাওয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী আসাদুল ইসলাম মীর ধলু। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা মাহমুদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত ধলুর বরাত দিয়ে এসআই ওসমান গণি জানান, জবানবন্দিতে ধলু রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ধলু বলেন, 'আমি ২০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে হাসপাতালে কাজ করি। আমার দায়িত্ব জরুরি বিভাগ আসা রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া। ঘটনার দিন ৯টার দিকে এই রোগী আসলে তাকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার পর সিলিন্ডারের অক্সিজেনসহ রোগীকে তৃতীয় তলায় সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে ওয়ার্ডে জায়গা না হলে লিফটের কাছে মেঝেতে রাখি। নিয়ম হলো, ওয়ার্ডে পৌঁছার পর ওয়ার্ড থেকেই অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে আর জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ২০০ টাকা বকশিশ চাই রোগীর স্বজনদের কাছে। তারা ৫০ টাকা কম দিলে আমি রেগে যাই। এরপর ওয়ার্ড থেকে অক্সিজেন আসার আগেই আমি জরুরি বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নিই। এরপর রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে আমি অক্সিজেন না লাগিয়েই সিলিন্ডার রেখে চলে আসি।' জবানবন্দি শেষে ধলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে ধলুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে বিকাশের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা করে শজিমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ধলু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমিরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মৃত জয়নুদ্দিন মীর।
মৃত বিকাশ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে গ্রিল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন।
গত মঙ্গলবার রাতে বকশিশ কম পেয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ায় বিকাশের মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী ধলু রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন ধলু। র্যাব তাকে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় তাঁকে হস্তান্তর করেন। শুক্রবার আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিকাশ চন্দ্র কর্মকার। রাতে তাঁকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। শজিমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে (নিচ তলা) চিকিৎসা শেষে বিকাশের মাথায় ব্যান্ডেজ এবং মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে স্ট্রেচারে করে সার্জারি বিভাগে (তৃতীয় তলা) নেন হাসপাতালের কর্মচারী ধলু। তৃতীয় তলায় গিয়ে বিকাশের বাবা বিশু চন্দ্র কর্মকারের কাছে বকশিশ হিসেবে ২০০ টাকা দাবি করেন ধলু। ওই সময় বিশু কর্মচারী ধলুকে ১৫০ টাকা দেন। কিন্তু ৫০ টাকা কম পেয়ে ধলু ক্ষিপ্ত হয়ে মুমূর্ষু রোগী বিকাশের অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেন। এতে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বিকাশের মৃত্যু হয়। ওই সময় হাসপাতালে অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে বিকাশের মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে পালিয়ে যান ধলু।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওসমান গনি বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির দেওয়ার পর ধলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে
৪ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
১০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২০ মিনিট আগে