Ajker Patrika

বিচারকের বদলির পর বগুড়ার সেই প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ২৩: ০২
বিচারকের বদলির পর বগুড়ার সেই প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে দুই অভিভাবককে ডেকে অপমান করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ। পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি। এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসার পর ওই বিচারককে বদলি করা হয়েছে।

একই ঘটনার জেরে এবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। ওই দুই অভিভাবককে তাঁর কক্ষে ডেকেই অপমান করেছিলেন বিচারক। প্রধান শিক্ষককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল থেকেই রাবেয়া খাতুন কর্মস্থল অবমুক্ত গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দুর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এমন কোনো চিঠি পাননি এবং বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছিল।

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গত ২০ মার্চ ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই রাতে বিচারকের মেয়ে ফেসবুকে তার সহপাঠীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। ওই পোস্টে তার চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন পরের দিন ২১ মার্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ওই চার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে ডেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি দেন। 

সেখানে দুই অভিভাবককে পা ধরে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। রাতে জেলা প্রশাসক গিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনা সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হলে গত ২৩ মার্চ ওই বিচারককে বগুড়া থেকে বদলি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ঢাকায় গিয়ে বিচারক এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি লিখিত বিবৃতি দেন। এরপর তাঁদের ওই দিনের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই তদন্ত চলমান অবস্থায় ওএসডি হলেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত