রিমন রহমান, রাজশাহী
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গাড়ি-বাড়ি-সম্পদ ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাদশার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। এমপি থাকার সময় কমিশন না পেলে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় কোনো প্রকল্পই দিতেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমনের মাধ্যমে তিনি কমিশন আদায় করে নিতেন। এ ছাড়া টাকার বিনিময়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের ঠিকাদারদের কাছ থেকেও কমিশন নেওয়ার অভিযোগ আছে।
ফজলে হোসেন বাদশা ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে রাজশাহী সদরের এমপি হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নৌকার প্রার্থী হন। ২০১৪ সালে এমপি হন বিনা ভোটে। এরপর ২০১৮ সালে এমপি হলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকা ধার করেও পার পাননি তিনি। হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি হওয়ার পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা ঘুরেফিরে কিছু ভুঁইফোড় সংস্থাকে তাঁর টিআর বরাদ্দ দিতেন। বিনিময়ে সেসব সংস্থার কাছ থেকে কমিশন নিতেন। আর কমিশন দিয়ে প্রকল্প নেওয়া সংস্থাগুলো বাস্তবে কোনো কাজই করেনি। ফজলে হোসেন বাদশা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদেরও ভুয়া প্রকল্প দিয়ে খুশি রাখেন। ফলে তাঁরাও সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরেই অনুসন্ধান করে আজকের পত্রিকা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে টিআরের আওতায় ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে তৎকালীন এমপি বাদশার দেওয়া প্রকল্পগুলোর তালিকা নিয়ে যাচাই করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই তিন অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৯ টাকার প্রকল্প দিয়েছেন বাদশা। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া ১২৬টি নামসর্বস্ব মহিলা সংস্থা এসব প্রকল্প পায়। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয় সংস্থাগুলোকে। সংস্থাগুলো তিন বছরে সর্বনিম্ন একবার থেকে ছয়বার পর্যন্ত টাকা পেয়েছে। এক অর্থবছরে একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও অনেক সংস্থাকেই একাধিক বরাদ্দ দেন বাদশা।
নথি ঘেঁটে দেখা যায়, রঙের মেলা মহিলা সংস্থা নামের একটি নামসর্বস্ব সংস্থা তিন অর্থবছরে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রতি অর্থবছরেই সংস্থাটিকে দুবার করে অর্থ বরাদ্দ দেন বাদশা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম দফায় ৪৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই অর্থবছরের দ্বিতীয় দফায় একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদের বরাদ্দ বাদ দিয়ে সংস্থাটিকে ৮৮ হাজার টাকা দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন বাদশা।
এ ছাড়া তিন অর্থবছরে পাঁচবার করে অর্থ বরাদ্দ পায় দুস্থ মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতি, পথশিশুদের শিক্ষা নিকেতন, ইচ্ছামতি, উৎসব, গোধুলি, জোনাকী, মেঘালয়, সন্ধ্যাতারা ও সবুজ মহিলা কল্যাণ সমিতি। চারবার করে অর্থ পেয়েছে দুস্থ ও বেকার মহিলা কল্যাণ সমিতি, আলোকিত নারী, করতোয়া, গন্ধরাজ, ডালিয়া, মধুমতি, শতদল ও সোনামনি মহিলা কল্যাণ সংস্থা এবং ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। নিয়ম ভেঙে ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থাটিকে দুই অর্থবছরেই চার দফায় ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এমপি বাদশার দেওয়া তালিকায় এই সংস্থার নাম বাদ পড়েছিল। পরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের শহীদ মিনার সংস্কারে দেওয়া এক লাখ টাকার আগের প্রকল্প বাতিল করে সেই টাকা এই সংস্থাকে দিতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন বাদশা।
প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া এক নারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে জানান, ফজলে হোসেন বাদশা যে প্রকল্প তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতেন, সেখানে স্থান পেতে হলে গুনতে হতো টাকা। বাদশার ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমন এই টাকা নিতেন।
রাজশাহীর অপর একটি সংস্থার সভানেত্রী বলেন, ‘যা টাকা পেতাম, তার অর্ধেকই চলে যেত। যাঁরা বরাদ্দ দিতেন, তাঁদেরই অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হতো। সেটাও আগাম।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি বরাদ্দের তালিকাতেই বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো না কোনো কাজ দেখিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি তালিকাতেই দেখা গেছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) নাম। অবসরে যাওয়া রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক সংগঠনের জেলার সভাপতি। তিন অর্থবছরে সাত দফায় আইডিইবি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৬ টাকা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় পাঁচ দফায় ৪ লাখ ৪০ হাজার এবং বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করতেন তৎকালীন এমপি বাদশার নামে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বাদশার স্ত্রী তসলিমা খাতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন। তিনিই নিতেন টাকা। এ ছাড়া বাদশা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দিয়ে কমিশন বাগিয়ে নিয়েছেন।
বাদশার ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, সে সময় তাঁর সব মিলিয়ে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ টাকার সম্পদ ছিল। বাদশার স্ত্রীর নামে ছিল ৫ কাঠা জমি। পরের নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পদ ও অর্থ অনেকটাই বেড়ে যায়। নগদ অর্থ দাঁড়ায় ১০ লাখ ২০ হাজার ৫৯১ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক এবং নগদ অর্থ মিলে দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ টাকা। ২০১৮ সালে বাদশার নগদ ও ব্যাংক মিলে অর্থ দাঁড়ায় ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৬ টাকা। দুটি গাড়ির দাম দেখানো হয় ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসে বাদশার সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এবার হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকা। নগদ টাকা ছিল ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে একটি ৭০ লাখ টাকার জিপ দেখা যায়।
কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গাড়ি-বাড়ি-সম্পদ ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাদশার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। এমপি থাকার সময় কমিশন না পেলে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় কোনো প্রকল্পই দিতেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমনের মাধ্যমে তিনি কমিশন আদায় করে নিতেন। এ ছাড়া টাকার বিনিময়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের ঠিকাদারদের কাছ থেকেও কমিশন নেওয়ার অভিযোগ আছে।
ফজলে হোসেন বাদশা ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে রাজশাহী সদরের এমপি হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নৌকার প্রার্থী হন। ২০১৪ সালে এমপি হন বিনা ভোটে। এরপর ২০১৮ সালে এমপি হলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকা ধার করেও পার পাননি তিনি। হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি হওয়ার পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা ঘুরেফিরে কিছু ভুঁইফোড় সংস্থাকে তাঁর টিআর বরাদ্দ দিতেন। বিনিময়ে সেসব সংস্থার কাছ থেকে কমিশন নিতেন। আর কমিশন দিয়ে প্রকল্প নেওয়া সংস্থাগুলো বাস্তবে কোনো কাজই করেনি। ফজলে হোসেন বাদশা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদেরও ভুয়া প্রকল্প দিয়ে খুশি রাখেন। ফলে তাঁরাও সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরেই অনুসন্ধান করে আজকের পত্রিকা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে টিআরের আওতায় ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে তৎকালীন এমপি বাদশার দেওয়া প্রকল্পগুলোর তালিকা নিয়ে যাচাই করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই তিন অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৯ টাকার প্রকল্প দিয়েছেন বাদশা। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া ১২৬টি নামসর্বস্ব মহিলা সংস্থা এসব প্রকল্প পায়। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয় সংস্থাগুলোকে। সংস্থাগুলো তিন বছরে সর্বনিম্ন একবার থেকে ছয়বার পর্যন্ত টাকা পেয়েছে। এক অর্থবছরে একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও অনেক সংস্থাকেই একাধিক বরাদ্দ দেন বাদশা।
নথি ঘেঁটে দেখা যায়, রঙের মেলা মহিলা সংস্থা নামের একটি নামসর্বস্ব সংস্থা তিন অর্থবছরে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রতি অর্থবছরেই সংস্থাটিকে দুবার করে অর্থ বরাদ্দ দেন বাদশা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম দফায় ৪৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই অর্থবছরের দ্বিতীয় দফায় একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদের বরাদ্দ বাদ দিয়ে সংস্থাটিকে ৮৮ হাজার টাকা দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন বাদশা।
এ ছাড়া তিন অর্থবছরে পাঁচবার করে অর্থ বরাদ্দ পায় দুস্থ মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতি, পথশিশুদের শিক্ষা নিকেতন, ইচ্ছামতি, উৎসব, গোধুলি, জোনাকী, মেঘালয়, সন্ধ্যাতারা ও সবুজ মহিলা কল্যাণ সমিতি। চারবার করে অর্থ পেয়েছে দুস্থ ও বেকার মহিলা কল্যাণ সমিতি, আলোকিত নারী, করতোয়া, গন্ধরাজ, ডালিয়া, মধুমতি, শতদল ও সোনামনি মহিলা কল্যাণ সংস্থা এবং ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। নিয়ম ভেঙে ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থাটিকে দুই অর্থবছরেই চার দফায় ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এমপি বাদশার দেওয়া তালিকায় এই সংস্থার নাম বাদ পড়েছিল। পরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের শহীদ মিনার সংস্কারে দেওয়া এক লাখ টাকার আগের প্রকল্প বাতিল করে সেই টাকা এই সংস্থাকে দিতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন বাদশা।
প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া এক নারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে জানান, ফজলে হোসেন বাদশা যে প্রকল্প তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতেন, সেখানে স্থান পেতে হলে গুনতে হতো টাকা। বাদশার ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমন এই টাকা নিতেন।
রাজশাহীর অপর একটি সংস্থার সভানেত্রী বলেন, ‘যা টাকা পেতাম, তার অর্ধেকই চলে যেত। যাঁরা বরাদ্দ দিতেন, তাঁদেরই অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হতো। সেটাও আগাম।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি বরাদ্দের তালিকাতেই বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো না কোনো কাজ দেখিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি তালিকাতেই দেখা গেছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) নাম। অবসরে যাওয়া রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক সংগঠনের জেলার সভাপতি। তিন অর্থবছরে সাত দফায় আইডিইবি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৬ টাকা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় পাঁচ দফায় ৪ লাখ ৪০ হাজার এবং বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করতেন তৎকালীন এমপি বাদশার নামে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বাদশার স্ত্রী তসলিমা খাতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন। তিনিই নিতেন টাকা। এ ছাড়া বাদশা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দিয়ে কমিশন বাগিয়ে নিয়েছেন।
বাদশার ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, সে সময় তাঁর সব মিলিয়ে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ টাকার সম্পদ ছিল। বাদশার স্ত্রীর নামে ছিল ৫ কাঠা জমি। পরের নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পদ ও অর্থ অনেকটাই বেড়ে যায়। নগদ অর্থ দাঁড়ায় ১০ লাখ ২০ হাজার ৫৯১ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক এবং নগদ অর্থ মিলে দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ টাকা। ২০১৮ সালে বাদশার নগদ ও ব্যাংক মিলে অর্থ দাঁড়ায় ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৬ টাকা। দুটি গাড়ির দাম দেখানো হয় ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসে বাদশার সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এবার হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকা। নগদ টাকা ছিল ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে একটি ৭০ লাখ টাকার জিপ দেখা যায়।
কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
২৭ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে