শেরপুরে স্বামী পরিত্যক্তাকে আশ্রয় দিয়ে তাঁর শিশুকন্যাকে ধর্ষণ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭: ১১

বগুড়ার শেরপুরে এক নারীকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে তাঁর কন্যাশিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা-শিশুকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায়। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে জীবন জীবিকা চালান। তাঁর সঙ্গে থাকে নিজের সাত বছরের কন্যাশিশু। 

ওই নারী অন্তত ১৫ দিন আগে শেরপুর শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে আসেন। এ সময় শেরপুর শহরের ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযুক্ত স্বপন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। স্বপন মা-মেয়েকে নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় দেয়। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মা মেয়ের ভাত ও খাবার কিনতে হোটেলে যান। এ সময় স্বপন শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। 

ওই নারী বাড়ি ফিরে মেয়েকে বিব্রত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় স্বপন তাঁকে দেখে দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি ঘটনা মাকে খুলে বলেন। 

শেরপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ‘স্বপন মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায় এলাকার টিনদহ গ্রামে। শুক্রবার দুপুরে এই ধর্ষণের ঘটনার পর স্বপন এলাকা থেকে পালিয়েছে। স্বপন শেরপুর শহরের ধুনট রোড এলাকার পাশে একজনের বাসা ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করতেন। শেরপুরে স্বপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।’ 

এ নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘শিশুটি ও তার মাকে শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রোববার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া স্বপনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত