ক্রেতা কম থাকায় চিন্তিত ভাঙ্গুড়ার কামারেরা

প্রতিনিধি, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) 
Thumbnail image

কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিল। তখন ক্রেতা আসতে না পারায় কামারদের হাতেও তেমন কাজ ছিল না। লকডাউন শিথিল হওয়ায় কোরবানি সামনে রেখে কিছুটা ব্যস্ততা বেড়েছে কামার পল্লিতে। তবে ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি কম বলে কামারদের মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তাও। 

ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের শরৎনগর বাজার কামারপট্টিতে সরেজমিনে দেখা যায়, কোরবানির পশু কাটার জন্য নতুন দা-বঁটি, ছুরি তৈরি করে পসরা সাজিয়ে রেখেছেন কামারেরা। তবে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় খুব একটা বিক্রি নেই। 

এই বছর কয়লা ও লোহার দাম বাড়ায় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। মান ভেদে ছোট দা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় দা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। ছোট বঁটি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, বড় বঁটি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। ছোট ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, বড় ছুরি ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা এবং কাটারি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর শান দেওয়ার জন্য দা, বঁটি ও ছুরির ক্ষেত্রে ৩০-৩০০ টাকা লাগছে। 

কোরবানির পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে রেখেছেন কামারেরাএ বাজারের কামার মো. রতন জানান, 'সারা বছর হাতে তেমন কাজ থাকে না। প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুম আর কোরবানির ঈদে ভালো কাজ হয়। এবার লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ ছিল। এখন জিনিসপত্র তৈরি করে রেখেছি কিন্তু ক্রেতা কম।' 

মাসুদ রানা নামের আরেকজন কামার জানান, লকডাউনে ক্রেতা না থাকায় নতুন করে জিনিসপত্র তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছি। তা ছাড়া লোহা ও কয়লার দাম বাড়ায় লাভ কম হচ্ছে।' 

ক্রেতা গোলাম মোস্তফা বাবলু জানান, কোরবানির পশু কাটার জন্য তিনি ২৫০০ টাকায় একটা বড় ছুরি কিনেছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত