রিপন চন্দ্র রায়, রাবি

আর পাঁচটা শিশুর মতোই জন্ম তাঁর। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র তিন বছর বয়সেই পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় মেরুদণ্ডের হাড়। হাঁটা শুরু হতে না হতেই থেমে যেতে হয় তাঁকে। তাতে তাঁর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কিন্তু অদম্য, ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থামাতে পারেনি তাঁর চলার গতি। মায়ের কোলে চড়ে একে একে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আজ মায়ের কোলে চড়েই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
সোনা বাবু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে শিক্ষক হবেন। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ তাঁর। নিজে চলতে না পারলেও মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। মাঝেমধ্যে হয়তো কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন মা। কিন্তু সন্তানের প্রবল আগ্রহ তাঁকে থেমে যেতে দেয়নি। প্রতিদিন কোলে করেই সোনা বাবুকে স্কুলে নিয়ে যান মা রাজিয়া সুলতানা। তবে সংসার দেখাশোনা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে স্কুল মিস হয়।
সোনা বাবুকে মাধ্যমিক পর্যন্ত কোলে করেই নিয়ে যেতেন তাঁর মা। কিন্তু মাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় আর কোলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তখন একটি ভ্যানগাড়ি ঠিক করে দেন। কিন্তু সব সময়ই সঙ্গে ছিল মা রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মূলত উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ জন্মে সোনা বাবুর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অন্য সবার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে পারেননি। তবে ‘ইংলিশ মজা’ নামের একটি অনলাইন মাধ্যমে কোচিং করেন তিনি। সেখানেই সম্পন্ন করেন প্রস্তুতি। এরপর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফলের বিষয়েও অনেকটা আশাবাদী সোনা বাবু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় গেটের সামনে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) বুথে মায়ের সঙ্গে বসে ছিলেন সোনা বাবু। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলাপকালে সোনা বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমার প্রতিবন্ধকতা আছে ঠিকই, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার পড়ালেখার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল। আমার মা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। হয়তো মায়ের কারণেই আজ আমি এত দূর আসতে পেরেছি। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল ছিলাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীরাও আমাকে অনেক সাহস দিত এবং আমার প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিল।’
সোনা বাবু আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হব। এখন যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই, তাহলে ভালো পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই।’
সোনা বাবুর মা রাজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিবার দরিদ্র পরিবার। পরিবারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ নেই। বড় মেয়েটাও পঙ্গু। একমাত্র সোনা বাবুই আমাদের ভরসা। ছোটবেলা থেকেই ওর স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবে। আমি একজন মা হিসেবে আমার দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করছি। এখন ওর যদি কোথাও সরকারি চাকরি হয়, তাহলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারব। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

আর পাঁচটা শিশুর মতোই জন্ম তাঁর। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র তিন বছর বয়সেই পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় মেরুদণ্ডের হাড়। হাঁটা শুরু হতে না হতেই থেমে যেতে হয় তাঁকে। তাতে তাঁর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কিন্তু অদম্য, ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থামাতে পারেনি তাঁর চলার গতি। মায়ের কোলে চড়ে একে একে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আজ মায়ের কোলে চড়েই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
সোনা বাবু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে শিক্ষক হবেন। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ তাঁর। নিজে চলতে না পারলেও মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। মাঝেমধ্যে হয়তো কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন মা। কিন্তু সন্তানের প্রবল আগ্রহ তাঁকে থেমে যেতে দেয়নি। প্রতিদিন কোলে করেই সোনা বাবুকে স্কুলে নিয়ে যান মা রাজিয়া সুলতানা। তবে সংসার দেখাশোনা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে স্কুল মিস হয়।
সোনা বাবুকে মাধ্যমিক পর্যন্ত কোলে করেই নিয়ে যেতেন তাঁর মা। কিন্তু মাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় আর কোলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তখন একটি ভ্যানগাড়ি ঠিক করে দেন। কিন্তু সব সময়ই সঙ্গে ছিল মা রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মূলত উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ জন্মে সোনা বাবুর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অন্য সবার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে পারেননি। তবে ‘ইংলিশ মজা’ নামের একটি অনলাইন মাধ্যমে কোচিং করেন তিনি। সেখানেই সম্পন্ন করেন প্রস্তুতি। এরপর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফলের বিষয়েও অনেকটা আশাবাদী সোনা বাবু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় গেটের সামনে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) বুথে মায়ের সঙ্গে বসে ছিলেন সোনা বাবু। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলাপকালে সোনা বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমার প্রতিবন্ধকতা আছে ঠিকই, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার পড়ালেখার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল। আমার মা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। হয়তো মায়ের কারণেই আজ আমি এত দূর আসতে পেরেছি। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল ছিলাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীরাও আমাকে অনেক সাহস দিত এবং আমার প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিল।’
সোনা বাবু আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হব। এখন যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই, তাহলে ভালো পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই।’
সোনা বাবুর মা রাজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিবার দরিদ্র পরিবার। পরিবারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ নেই। বড় মেয়েটাও পঙ্গু। একমাত্র সোনা বাবুই আমাদের ভরসা। ছোটবেলা থেকেই ওর স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবে। আমি একজন মা হিসেবে আমার দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করছি। এখন ওর যদি কোথাও সরকারি চাকরি হয়, তাহলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারব। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
০৬ মার্চ ২০২৪
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
০৬ মার্চ ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
০৬ মার্চ ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
০৬ মার্চ ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে