Ajker Patrika

২ ছেলের নামে কলেজের জমি লিখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ৪৩
২ ছেলের নামে কলেজের জমি লিখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ

নিজের দুই ছেলের নামে জমি লিখে দিয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্রাই অগ্রণী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক। কলেজের জমি তিনি লিখে দিয়েছেন লাইব্রেরিয়ানের নামেও। এ ছাড়া এই অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের বিরুদ্ধে কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ করার পর আরসুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। 

এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সম্প্রতি অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান মালেক একটি মামলার আসামি হয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর মোহনপুর সদরের নাহিদ পারভেজ নামের এক ব্যক্তি এই মামলা করেন। মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ গা ঢাকা দিয়েছেন। 

কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক দেওয়ান গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিষয়টি তদন্তের জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহীন মিয়াকে দায়িত্ব দেন। এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলে তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। প্রায় ২৭ বছর ধরে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন আরসুজ্জামান মালেক। 

পদত্যাগ করা এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের জমি দুই ছেলে ও লাইব্রেরিয়ানের নামে লিখে দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তসলিম উদ্দিন ও শামিমা আকতার নামের কেউ কলেজে কখনো চাকরি করেননি। অথচ এ দুজনকে প্রভাষক নিয়োগ দেখিয়ে তাঁদের নামে আসা বেতন-ভাতা তুলে আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। তিনি একই ইনডেক্সে অবৈধভাবে একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন তুলেছেন। অভিযোগপত্রে প্রমাণ হিসেবে এমপিও কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এমপিও কপিতে অধ্যক্ষ অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয় পরিবর্তন করে প্যাটার্ন–বহির্ভূত নিয়োগ দিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অধ্যক্ষ তাঁর ছেলে মাহমুদুজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছেন এ কলেজের শিক্ষক হিসেবে। অভিযোগে বলা হয়, মাহমুদুজ্জামান সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁকে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর তিনি বেতন-ভাতা তুলছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের শিক্ষক হিসেবে। অধ্যক্ষের ছেলের নিয়োগের পুরোটিই ঘাপলা। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ আরসুজ্জামানের জন্মতারিখ দুটি। প্রথম জন্মতারিখ অনুযায়ী ২০২০ সালেই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেশি দিন চাকরিতে থাকতে তিনি দুটি জন্মতারিখ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক পরপর দুই মেয়াদের বেশি গভর্নিং বডিতে শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁর অনুগত সহকারী অধ্যাপক রহিমা খাতুনকে ২০১২ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রাখেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য অধ্যক্ষ অর্থ–বাণিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমি বিক্রির দলিল এবং নিরীক্ষা আপত্তির কাগজপত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০০০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ছেলে এম মাহমুদুজ্জামান সুমন ও এম মাহবুবুজ্জামান জয়ের নামে কলেজের শূন্য দশমিক ৭৪ শতক জমি দলিল করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ আরসুজ্জামান। বিক্রয় কবলা দলিলে জমির মূল্য ধরা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ, নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার এ জমি ছেলেদের নামে লিখে দেন অধ্যক্ষ। দলিল করার সময় অধ্যক্ষের এক ছেলে নাবালক ছিল বলেও শিক্ষকদের অভিযোগ। 

কলেজটিতে ২০১৪ সালের ২ মার্চ নিরীক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। পরে উপপরিচালক দেবদুলাল ভট্টাচার্যের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭টি দলিলে কলেজের মোট জমির পরিমাণ দাবি করা হয় ২ দশমিক ৭৮ একর। কিন্তু নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র তিনটি দলিলে জমির পরিমাণ ১ দশমিক ২৫ একর। প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু কোনো অনুমোদন নেননি অধ্যক্ষ। তিনি গভর্নিং বডির ওপর দায় চাপিয়ে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারি বিধিবিধান প্রতিপালন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। তারপরও এত দিন বহাল ছিলেন অধ্যক্ষ।

অভিযোগকারী শিক্ষক নাজমুল হক দেওয়ান বলেন, ‘স্থানীয় বিদ্যানুরাগী মানুষ কলেজকে জমি দান করেছিলেন। সে জমি ছেলেদের নামে লিখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ছেলেকে চাকরিও দেন। তাঁর অনিয়মের শেষ নেই। আমরা অধ্যক্ষের সব অপকর্মের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’ 

অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ আরসাজ্জুমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। মামলার আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনের থাকার কারণে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ছেলে ওই কলেজের শিক্ষক মাহমুদুজ্জামানকেও ফোন দিলে তিনিও ধরেননি। সাড়া দেননি এসএমএস দিলেও। 

অধ্যক্ষের অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শাহিন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযোগকারী এবং অধ্যক্ষকে আগামী বুধবার ডাকা হয়েছে। অধ্যক্ষ মামলার আসামির কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই। তিনি না এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসান।

তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

এসময় আনিস আলমগীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নাজনীন নাহার তাঁকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরদিন রাতে আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।

তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

ওই অভিযোগে পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
মো. নাজমুল ইসলাম শামীম। ছবি: সংগৃহীত
মো. নাজমুল ইসলাম শামীম। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বীর ও র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর সদস্যরা।

অভিযানে শামীমের নিজ বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’

অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—তিনটি পাইপগান, ৬০টি শটগানের গুলির খোসা, ১৮টি মেশিনগানের গুলি, ১টি পিস্তলের গুলি, ১টি রিভলবারের গুলি, ১০টি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল), দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ একটি মানিব্যাগ। এ ছাড়া মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার শামীম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহসভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এবং কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনাজপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আলতাফুজ্জামান মিতা‌। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলতাফুজ্জামান মিতা‌। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রা‌তে দিনাজপু‌রের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থে‌কে তাঁকে গ্রেপ্তার ক‌রা হয়।

আলতাফুজ্জামান মিতা ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদকের দা‌য়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থে‌কে তি‌নি পলাতক। তবে পলাতক থাকলেও সম্প্রতি সামা‌জিক যোগা‌যোগমাধ্যম ফেসবু‌কে তাঁকে সরব থাক‌তে দেখা গে‌ছে।

দিনাজপুরের অতি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হো‌সেন জানান, ‘সাম্প্রতিক সম‌য়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখ‌তে ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ফেসবু‌কে তি‌নি নানা কর্মকাণ্ডের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পু‌লিশ বেশ কিছুদিন থে‌কে তাঁ‌কে খুঁজছিল। গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে বিরামপুর এলাকার এক‌টি বা‌ড়ি থে‌কে তাঁ‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে। তাঁর না‌মে বি‌ভিন্ন থানায় ৭ থে‌কে ৮টি মামলা চলমান আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খামার থেকে গরু লুট, আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
খামার থেকে গরু লুট, আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজনকে আজ শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার এ এইচ আল মাসুদ ওরফে রয়েলের মালিকানাধীন একটি গরুর খামারে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তারা প্রথমে প্রহরা কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে খামারমালিককে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে মারধর করে। পরে খামার থেকে নয়টি গরু ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় খামারমালিক বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ডাকাতির মামলা করেন। শুরুতে মামলার তদন্ত থানা-পুলিশ করলেও পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁওয়ের নির্দেশে ৮ ডিসেম্বর তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, এ চক্রটি ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

এদিকে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত