গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, বিএমডিএ অফিস ঘেরাও

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ৫৪
Thumbnail image
অর্থ-বাণিজ্যের মাধ্যমে গভীর নলকূপের অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে পদ না-পাওয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর মান্দায় গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিএমডিএর কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন পদ না-পাওয়া ব্যক্তিরা।

ফল প্রকাশের পর থেকে বিএমডিএ মান্দা জোনের সহকারী প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমান লাপাত্তা বলে অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে আজ রোববার অফিস ঘেরাও করার সংবাদ পেয়ে সটকে পড়েন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। অফিস সহায়ক ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আবেদনের সময় প্রতিটি ফরমে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অনেক আবেদনকারী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নিলেও অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন। চাষযোগ্য জমি না থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন কেউ কেউ।

বিএমডিএ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলায় ৪৮৪টি গভীর নলকূপ রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব নলকূপে অপারেটর নিয়োগের জন্য ১ হাজার টাকার বিনিময়ে আবেদন ফরম বিক্রি করে মান্দা বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এতে ৭৬৪টি ফরম বিক্রি হয়। এর মধ্যে একক আবেদন পড়ে ২৮৯টি গভীর নলকূপে এবং ১৬৫ নলকূপের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৪৭৫টি। ৩০টি নলকূপে আবেদন না পড়ায় সেগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে।

বিএমডিএ কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএমডিএ কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিক্ষোভকারী ও বিএমডিএ সূত্র জানায়, ১৬৫ নলকূপে নতুন অপারেটর নিয়োগ পেয়েছেন। অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। আর স্থগিত ৩০টির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী সেগুলোর সেচকাজ পরিচালনা করা হবে।

উপজেলার বাঙালপাড়া গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেননি এমন ব্যক্তিরাও নিয়োগ পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে। চাষযোগ্য জমি না থাকলেও অনেককেই অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে মান্দা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্যসংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনেক আবেদন বাতিল হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাঁরা কী কারণে অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এটি আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত