স্কুল খোলার আনন্দে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপস্থিত শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৯
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৬

দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুল খোলার আনন্দে আজ সকাল ৮টায় স্কুলে এসে উপস্থিত হয়েছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার আমুট্ট গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি হোসেন। ঠিক একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফারিহা আক্তারও স্কুলে উপস্থিত হয়। তবে ফারিয়ার আজ ক্লাস না থাকায় বাড়ি চলে যায়। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে আক্কেলপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই উপস্থিত হতে দেখা গেছে। 

আজ রোববার সকাল ৯টায় কথা হয় আক্কেলপুর সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আনিকা আক্তারের সঙ্গে। আনিকা বলে, স্কুল খোলার আনন্দে সকাল ৭টায় বই-খাতা নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে। 

সিদ্দির মোড় মহল্লার জাকিয়া সুলতানা নামের এক অভিভাবক বলেন, `আমার তিন ছেলেমেয়ে আক্কেলপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণি, মেজ ছেলে চতুর্থ শ্রেণি এবং ছোট ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল খোলার প্রথম দিন আমিও আনন্দে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মাদ্রাসায় এসেছি।' 

সরেজমিনে সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের অনেক আগেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে উপস্থিত হয়। তবে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকেরা উপস্থিত হয়েছেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। 
 
আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূরজাহান বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, কথা হয় না। তাই একটু আগেভাগেই স্কুলে এসেছি। অনেক দিন পর সবার সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে। 
 
এদিকে স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসবে, তাই খুব সকালেই স্কুলে এসেছেন আক্কেলপুর সরকারি এফইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, `অনেক দিন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দেখি না। শিক্ষার্থীরা আসবে তাই নিজ হাতে স্কুলের সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি, যাতে কোনো শিক্ষার্থীর অসুবিধা না হয়।'
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরেও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ঘুরে মনিটরিং করার জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম দিন উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত