হত্যা মামলার ২৩ বছর পর নারীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ২১: ৪৮

জয়পুরহাটে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদা হত্যার দায়ে ২৩ বছর পর এক নারীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। 

সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬০), আতাউর রহমান (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী মেরিনা বেগম (৫০)। 

মামলা থেকে জানা গেছে, মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আজরা সিধুইল গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে। তাঁর সৎ মা আনোয়ারা বেগমের খালাতো ভাই হলেন আতাউর রহমান। মঞ্জিলার বাবা মোকছেদ আলী মারা যাওয়ার পর তাঁর জমিজমা ভাগ হয়। ওই সময় মঞ্জিলার ভাগে পড়ে ১৮ হাজার টাকা। সেই টাকা আত্মসাতের জন্য আতাউর কূটকৌশলের আশ্রয় নেন। তিনি মঞ্জিলাকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। 

 ২০০০ সালের ১১ মে মঞ্জিলাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান আতাউর। এরপর তিনি ও তাঁর স্ত্রী মেরিনা, আব্দুল বারীক, হিরা ও আমজাদ হোসেন মিলে ওই বছরের ১২ মে মঞ্জিলাকে হত্যা করার গোপন বৈঠক করেন। ওই দিন বিকেলে তাঁরা মঞ্জিলাকে মারধর করে হত্যা করেন। পরে আসামিরা মঞ্জিলার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করেন বলে মামলা থেকে জানা গেছে। 

মঞ্জিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে ২০০০ সালের ১৪ মে পাঁচবিবি থানায় তিনজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বেলা ২টার দিকে এই রায় দেন আদালত। 

এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত