৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে দশ বিড়ি কোম্পানি: বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার দশটি বিড়ি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এসব কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে এ টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। আজ বুধবার পাবনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান বাংলাদেশ বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন–বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাবনার বিভিন্ন বিড়ি কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। জেলার অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে লাইসেন্সবিহীন কোম্পানিগুলো এই কাজ করছে। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্কারোপকে স্বাগত জানিয়ে জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন বলেন, গত মে মাসে শ্রমিক দিবস আমরা পাবনা জেলা বিড়ি শিল্পে ভ্যাট ও ট্যাক্সের দুর্দশা রোধ এবং বিড়ি শিল্প রক্ষায় একাধিক মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু আজ অবধি জেলা কাস্টমস কর্মকর্তারা কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। 

হারিক হোসেন বলেন, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া কিছু কোম্পানি জাল/নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে তাদের বিড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। অথচ তাদের কম খুচরা মূল্যের বিড়ির কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় ও জেলার প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘পাবনায় ২২টি বিড়ি কোম্পানির মধ্যে ১০টি কোম্পানি অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। সেই কোম্পানিগুলোর নাম উল্লেখ করে তাদের ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রায় শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য তুলে ধরেন তিনি। 

তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে এই অবৈধ ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে পাবনাসহ পাশের কয়েকটি জেলাতে। এই সব রোধ করা গেলে শুধু পাবনা জেলা থেকেই প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব। 

এ সময় পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহসভাপতি রানী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, অর্থ সম্পাদক উৎসব আনন্দ রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলী খাতুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মোল্লা, কুষ্টিয়া জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত