Ajker Patrika

শস্য সংগ্রহের বস্তাতেই ঠিকাদার-কর্মকর্তার ‘ভূত’

  • ৭ লাখ বস্তা সরবরাহের কথা, সময় শেষ। এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ২ লাখ।
  • বস্তার যে ওজন হওয়ার কথা, তার চেয়ে ৪০-৫০ গ্রাম কম ওজনের বস্তা দেওয়া হয়েছে।
  • নতুন দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যবহৃত এবং অন্য প্রতিষ্ঠানের সিলযুক্ত বস্তা সরবরাহ।
  • তদন্ত কমিটি হয়েছে। সেই কমিটি প্রতিবেদন দিচ্ছে না। মিথ্যা প্রতিবেদন দিতে চাপ।
রিমন রহমান, রাজশাহী 
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ১১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিপাকে পড়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যে সাত লাখ বস্তা সরবরাহের জন্য রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে যে দুটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে, তারা বস্তা সরবরাহ করছে না। এ পর্যন্ত যে দুই লাখ বস্তা সরবরাহ করেছে, সেগুলো নিম্নমানের। এ ব্যাপারে যে তদন্ত হয়েছে, সেই কমিটি প্রতিবেদন দিচ্ছে না।

খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, নিম্নমানের খালি বস্তা সরবরাহ এবং গ্রহণ করার ব্যাপারে খাদ্য বিভাগ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি ‘দুষ্টচক্র’ কাজ করছে। ফলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসছে না।

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম টেক্সটাইল অ্যান্ড জুট। আর ছয় লাখ বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে ২ লাখ ৫০ হাজার, রহনপুর খাদ্যগুদামে ১ লাখ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে ২ লাখ খালি বস্তা সরবরাহ করবে। শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করেছে। তবে এই বস্তাও ত্রুটিপূর্ণ। যে ওজনের বস্তা চাওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে ৪০ গ্রাম কম ওজনের বস্তা সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া চুক্তিপত্র পরিপন্থী বেলবিহীন লুজ অবস্থায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বস্তাগুলো কর্তৃপক্ষ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা এক লাখ বস্তার প্রায় অধিকাংশই নিম্নমানের এবং কম ওজনের হওয়ায় কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেননি। বস্তা গ্রহণ কমিটির সদস্য গোমস্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বাইরে ছিলেন। বস্তা তাঁকে না দেখিয়েই সই করার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছিল। তবে তিনি না দেখে সই করেননি।

এদিকে ২৯ ডিসেম্বরের গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এই খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান গত সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর গুদামে হারুন অ্যান্ড সন্সের ৩০ কেজি ধারণক্ষম ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এখ পর্যন্ত সেই বস্তা সরবরাহ করা হয়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদাম প্রায় দুই মাস আগে মেসার্স সিয়াম টেক্সাইল অ্যান্ড জুট থেকে এক লাখ পিস খালি বস্তা গ্রহণ করে। নির্দেশ অনুসারে সেখান থেকে ২৪ হাজার পিস বস্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়। এরপর ধরা পড়ে, বস্তাগুলো নিম্নমানের। বস্তার ওজন হওয়ার কথা ছিল ৩৩০ গ্রাম, তবে সরবরাহ করা বস্তার ওজন ২৮০ গ্রাম।

এ ছাড়া সরবরাহ করা বস্তাগুলোর বেশির ভাগ ব্যবহৃত স্টেনসিলযুক্ত। ওলটানো, ব্যবহৃত এসব বস্তায় বিভিন্ন মিলের নাম লেখা আছে। অভিযোগ, স্বল্প টাকায় এই বস্তা কিনে সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আমনুরা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন সোমবার বলেন, ‘মালগুলো সঠিক নয়।’ তিনি এ ব্যাপারে জেলা বস্তা গ্রহণ কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

বস্তা সরবরাহের শেষ সময় ছিল ২৯ ডিসেম্বর। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ করেনি মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স। নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ এবং অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ না করার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হারুন অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারীর ছেলে ফয়সাল রশিদ পলক ঢাকার তাঁদের কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবেন না।

বস্তা নিতে চাপ

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য বিভাগ প্রতি পিস বস্তা কিনছে ৫৩ টাকায়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে পুরোনো বস্তা। ব্যবহৃত এই বস্তা ১৫ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। আবার ৩৩০ গ্রাম ওজনের বস্তার চেয়ে কম ওজনের ছোট বস্তা সরবরাহ করেও অনিয়ম করা হয়েছে। সূত্র বলছে, এরপরও খাদ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা বস্তা গ্রহণে চাপ সৃষ্টি করছেন। তাই ত্রুটিপূর্ণ বস্তা নিয়ে তদন্ত হলেও কমিটি প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। সময় পেরিয়ে গেলেও অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা আদায় করা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হারুন অ্যান্ড সন্স যদি বস্তা না দিয়ে থাকে, সেটা তার লোকসান। সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। আমরা জরিমানা করে মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছি। বস্তা না দিলে সে কালোতালিকাভুক্ত হবে। তার জামানতের ১৬ লাখ টাকা সে পাবে না।’

আমনুরায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে একটি তদন্ত কমিটি গেছে। তারা এখনো প্রতিবেদন পেশ করেনি। মহাপরিচালক স্যার বলছেন, প্রতিবেদন পাওয়ার আগে তো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। প্রতিবেদনের জন্য তাদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাসের ধাক্কায় ছিনতাইকারী সংকটাপন্ন

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় এক ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর আড়তের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা আশিষকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশিষ জোয়াদ্দারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি মাহমুদুর রহমান তুহিন জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনে ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পান তিনি। তখন এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। ওই ব্যক্তিকে পূর্বপরিচিত হিসেবে চেনেন তিনি। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।

তুহিন আরও বলেন, ওই ব্যক্তির নাম আশিষ জোয়াদ্দার। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশে ৭-৮টি ভ্যান গাড়িতে করে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় এমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি। তাঁদের মূল দোকান যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে। সেখানে বসেই ব্যবসার হিসাবপত্র রাখতেন আশিষ। গ্রাম থেকে শনিবার রাতেই ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। এগুলো দেখে ফ্লাইওভারের নিচে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। তবে কোনো কিছু দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তাঁর সঙ্গে থাকা আইফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবকের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকে একটি আইফোন সেট, টাকা ও স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে তার নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না।

এসআই আব্দুর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপির হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি: যুবক গ্রেপ্তার

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা ইসরাত রায়হান অমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার করা ইসরাত রায়হান অমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় রুপিসহ যুবক আটক

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আটক করা যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করা যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।

জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।

সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত আয়শার চিকিৎসা বন্ধ, অর্থাভাবে মানবেতর জীবন

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
শিশু আয়শাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তার মা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশু আয়শাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তার মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।

আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’

জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।

আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’

এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত