Ajker Patrika

আত্মরক্ষার কৌশল শিখবে ৩৭ জেলার ১ লাখ শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৬
আত্মরক্ষার কৌশল শিখবে ৩৭ জেলার ১ লাখ শিশু

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় দেশের ৩৭টি জেলার ১ লাখ শিশুকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী এই শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই থাকবে মেয়ে। গত জুন থেকে মাঠপর্যায়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়। 

৩৭ জেলার মধ্যে ১২টি সিটি করপোরেশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাজশাহী বিভাগে চলতি মাসে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জয়পুরহাট ছাড়া বাকি সাত জেলাতেই কর্মসূচি চলবে। এই সাত জেলায় আত্মরক্ষার কৌশল বা সেলফ ডিফেন্স শেখাবেন ৪২ জন প্রশিক্ষক।

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে তাঁদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রশিক্ষণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউনিসেফের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘সুবর্ণরেখা’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। আগামী এক বছর প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পিছিয়ে পড়া শিশুদের চার দিন করে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে। চার দিনে প্রশিক্ষণের সময়সীমা হবে ৬ ঘণ্টা। এই ৬ ঘণ্টাতেই শিশুরা আত্মরক্ষার অনেক কৌশল শিখতে পারবে। এ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধী শিশুরাও অংশ নিতে পারবে। যেসব প্রতিবন্ধী শিশু অংশ নিতে পারবে না, তারা প্রশিক্ষণ দেখবে। 

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জন শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিবার, শিক্ষক ও পরিচিতজনের মাধ্যমে নির্যাতিত ও শোষিত। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৭ শতাংশ শিশু বিভিন্ন জায়গায় শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত। 

এখন ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ৫১ শতাংশই তাদের ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এ প্রকল্পের আওতায় শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে এবং ৫ লাখের বেশি অভিভাবককে তাঁদের শিশুদের এ সুযোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেইন বলেন, ‘এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী ও শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো। যার মাধ্যমে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এবং আক্রমণকারী থেকে বেঁচে ফিরবে। এটি অনেক বড় একটি উদ্যোগ।’ 

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এই কর্মসূচি নারী ও শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করবে। নারী ও শিশুদের বিভিন্ন নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে। সমাজের দুর্বল ও প্রান্তিক নারী এবং শিশুদের আগামী দিনে সমাজের প্রথম সারিতে নিয়ে আসবে। তাই প্রশিক্ষকদের আন্তরিক থাকতে হবে।’ 

অনুষ্ঠানে সুবর্ণরেখার ডিরেক্টর জেনারেল তোফাজ্জল হোসেইন, মাস্টার ট্রেইনার কাজল দাস, কর্মসূচি সমন্বয়কারী মিটুন শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত