রংপুর ও বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি এক রোগীকে ১০০ প্রকার ওষুধ দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলীর নির্দেশে ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিনকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে সোমবার সকালে আজকের পত্রিকায় ‘আইসিইউতে ১৪ ঘণ্টায় ১ রোগীকে ১০০ ওষুধ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রংপুরে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে। প্রতিবেদনটির সূত্র ধরেই এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রংপুর জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইসিইউতে মারা যাওয়া মুক্তা বানুর বাবা মোক্তার হোসেন।
মোক্তার হোসেন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, মেয়ে মুক্তা বানুর প্রসববেদনা শুরু হলে তাঁকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে রংপুরের জয়তুন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। মেয়ের রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচারে না গিয়ে ওই দিন রাত ২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে তাঁর মেয়ে মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
ওই দিন দুপুর ১২টার পরে তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েকে আইসিইউতে রেফার্ড করেন। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকায় ওই দিন শুক্রবার বিকেলে মেয়েকে বাঁচাতে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় সেখানে এক চিকিৎসক মেয়েকে দেখে ভিজিট নেন ১ হাজার ৫০০ টাকা। সন্ধ্যায় মেয়েকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘আপনার মেয়ের অবস্থা ভালো নয়, বাঁচাতে হলে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে।’ এরপর তাঁরা লাইফ সাপোর্টে রাখেন।
মোক্তার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ‘পরদিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দেখি, আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছি, আমার মেয়ে বেঁচে নেই। তবুও তাঁরা বেশি টাকা আদায়ের লোভে রাত ২টা পর্যন্ত আমার মেয়েকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। এরপর রাত ২টার দিকে মেয়ে মারা গেছে বলে ৬৪ হাজার টাকার বিল ভাউচার আমার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
তিনি ওই অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। বাড়িতে কোনো টাকা-পয়সা না থাকায় রাতেই অন্যের কাছে ধারদেনা করে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে যান। পুরো ৬৪ হাজার টাকা না দিলে লাশ দেবেন না বলে তাকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে তিনি ভোর রাতে গ্রামে গিয়ে আরও ২৪ হাজার টাকা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেন। ভোর ৫টায় তিনি যখন লাশ গ্রহণ করেন তখন লাশ ফুলে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এ ঘটনায় তিনি প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
মুক্তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, ‘যদি রাত ২টায় আমার ভাতিজি মারা গিয়ে থাকে, তাহলে ভোর হতে না হতেই এত অল্প সময়ে লাশ ফুলবে কেন এবং দুর্গন্ধ ছড়াবে কেন?’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের বাইরে আছি, মেয়েটির বাবা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটিও দেখা হবে।’
রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি এক রোগীকে ১০০ প্রকার ওষুধ দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলীর নির্দেশে ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিনকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে সোমবার সকালে আজকের পত্রিকায় ‘আইসিইউতে ১৪ ঘণ্টায় ১ রোগীকে ১০০ ওষুধ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রংপুরে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে। প্রতিবেদনটির সূত্র ধরেই এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রংপুর জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইসিইউতে মারা যাওয়া মুক্তা বানুর বাবা মোক্তার হোসেন।
মোক্তার হোসেন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, মেয়ে মুক্তা বানুর প্রসববেদনা শুরু হলে তাঁকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে রংপুরের জয়তুন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। মেয়ের রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচারে না গিয়ে ওই দিন রাত ২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে তাঁর মেয়ে মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
ওই দিন দুপুর ১২টার পরে তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েকে আইসিইউতে রেফার্ড করেন। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকায় ওই দিন শুক্রবার বিকেলে মেয়েকে বাঁচাতে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় সেখানে এক চিকিৎসক মেয়েকে দেখে ভিজিট নেন ১ হাজার ৫০০ টাকা। সন্ধ্যায় মেয়েকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘আপনার মেয়ের অবস্থা ভালো নয়, বাঁচাতে হলে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে।’ এরপর তাঁরা লাইফ সাপোর্টে রাখেন।
মোক্তার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ‘পরদিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দেখি, আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছি, আমার মেয়ে বেঁচে নেই। তবুও তাঁরা বেশি টাকা আদায়ের লোভে রাত ২টা পর্যন্ত আমার মেয়েকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। এরপর রাত ২টার দিকে মেয়ে মারা গেছে বলে ৬৪ হাজার টাকার বিল ভাউচার আমার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
তিনি ওই অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। বাড়িতে কোনো টাকা-পয়সা না থাকায় রাতেই অন্যের কাছে ধারদেনা করে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে যান। পুরো ৬৪ হাজার টাকা না দিলে লাশ দেবেন না বলে তাকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে তিনি ভোর রাতে গ্রামে গিয়ে আরও ২৪ হাজার টাকা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেন। ভোর ৫টায় তিনি যখন লাশ গ্রহণ করেন তখন লাশ ফুলে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এ ঘটনায় তিনি প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
মুক্তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, ‘যদি রাত ২টায় আমার ভাতিজি মারা গিয়ে থাকে, তাহলে ভোর হতে না হতেই এত অল্প সময়ে লাশ ফুলবে কেন এবং দুর্গন্ধ ছড়াবে কেন?’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের বাইরে আছি, মেয়েটির বাবা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটিও দেখা হবে।’
যশোরের চৌগাছায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশা হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামিদের হাতে ২২ বছর পর তাঁর ভাই আনিসুর রহমান (৫৫) খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুপিয়ে জখম করা হলে আজ বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আনিসুরের ফুপাতো ভাই আব্দুস সালাম আহত হয়েছেন
২৬ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুই জেলার শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি মারধরের জেরে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই রুটে কোনো বাস চলাচল করেনি।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অফিসের মালামাল সরিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক)। এ বিষয়ে এভসেক–এর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এপিবিএন।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জাফর উল্লাহ (৪২) নামের এক পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে