দুস্থদের চালের ভাগ নিয়ে চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতাদের সমর্থকদের সংঘর্ষ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ৫৬
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ১৩

কুড়িগ্রামের উলিপুরে আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ-এর আওতায় অসহায়-দুস্থদের জন্য স্লিপের মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। চাল বিতরণের স্লিপের ভাগ না পাওয়ায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাঈদ এবং দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাবলুর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজ গেট সংলগ্ন এলাকায় এ মারামারি হয়। 

এতে কমপক্ষে দুই জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন দুল মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান বুলেট (২৫) ও আকবর আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩০) আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম দলের দুস্থ নেতাকর্মীদের স্লিপের জন্য। তিনি দলীয় ভাগের সকল স্লিপ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় চেয়ারম্যান আমাদের স্লিপ না দিয়ে সন্ধ্যায় দেখা করতে বলেন। এরই মধ্যে বাইরে হঠাৎ মারামারি শুরু হয়। পরে জানতে পারি চেয়ারম্যানের সমর্থক দুই গ্রুপ মারামারি করেছেন। 

আহত দুইজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি দুইজন আহত হয়েছেন, তাদেরকে আমি চিনি না।’ তবে তিনি দাবি করেন, চেয়ারম্যান আমাদেরকে প্রতিহত করতে বাইর থেকে ভাড়াটিয়া লোকজন এনেছিল। সম্ভবত তারাই মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিল। 

এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে হাইব্রিড নেতা-কর্মীরা এসে দলীয় স্লিপ দাবি করেন। এ সময় আমি তাদেরকে ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তালিকা নিয়ে আসতে বলি। তারা তা না করে পকেট কমিটির লোকজন এনে স্লিপ দাবি করতে থাকেন। 

এ সময় তাদের সঙ্গে অন্য এলাকার ভাড়াটিয়া লোকজন ছিল। চাল বিতরণ চলাকালীন সময় হঠাৎ করেই কলেজের গেটের সামনে আমার লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় দুইজন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ি থেকে হামলায় ব্যবহৃত লাঠি-সোঁটা উদ্ধার করে নিয়ে যান পুলিশ। 

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় সেখান থেকে লাঠি-সোটা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত