উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে গত দুই দিনে তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে স্থানীয়দের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক ঘর বাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্টবাজার চর মাদারিপাড়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শত শত মানুষ নদী ভাঙনে হুমকির মুখে থাকা বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এবং গাছপালা কেটে নিচ্ছেন। এ ছাড়া উলিপুর উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা এলাকার মানুষজন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নদীর প্রবল স্রোতে আব্দুল আকন্দ জান্নাতুল নুরে জামে মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ, জান্নাতুল ফেরদৌস নুরানি মাদ্রাসা,৫টি কবরস্থান, দেড় থেকে দুই শত পরিবারের বাড়িঘর, প্রায় চার থেকে পাঁচশত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাড়িঘর গাছপালা কেটে বাঁধের রাস্তার ওপর আশ্রয় নিচ্ছে।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার বলেন, ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমিসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। ১২০ থেকে ১৫০টি পরিবারের ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া কৃষি অফিস ফসলি জমির ক্ষতির পরিমাণ জরিপ করছে।
উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সাত থেকে আট শত একর ফসলি জমির ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৬০ থেকে ৭০টি পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার তিস্তা নদীর বামতীর রয়েছে। সেখানে ১২ শত মিটার জায়গায় ব্লক দিয়ে ভাঙনরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি গ্রোয়েন বাঁধ রয়েছে। বাকি দীর্ঘ যে বামতীর তা অরক্ষিত রয়েছে। ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদী শাসনে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের কাজ চলছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নদী ভাঙনরোধ সম্ভব হবে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে গত দুই দিনে তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে স্থানীয়দের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক ঘর বাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্টবাজার চর মাদারিপাড়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শত শত মানুষ নদী ভাঙনে হুমকির মুখে থাকা বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এবং গাছপালা কেটে নিচ্ছেন। এ ছাড়া উলিপুর উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা এলাকার মানুষজন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নদীর প্রবল স্রোতে আব্দুল আকন্দ জান্নাতুল নুরে জামে মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ, জান্নাতুল ফেরদৌস নুরানি মাদ্রাসা,৫টি কবরস্থান, দেড় থেকে দুই শত পরিবারের বাড়িঘর, প্রায় চার থেকে পাঁচশত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাড়িঘর গাছপালা কেটে বাঁধের রাস্তার ওপর আশ্রয় নিচ্ছে।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার বলেন, ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমিসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। ১২০ থেকে ১৫০টি পরিবারের ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া কৃষি অফিস ফসলি জমির ক্ষতির পরিমাণ জরিপ করছে।
উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সাত থেকে আট শত একর ফসলি জমির ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৬০ থেকে ৭০টি পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার তিস্তা নদীর বামতীর রয়েছে। সেখানে ১২ শত মিটার জায়গায় ব্লক দিয়ে ভাঙনরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি গ্রোয়েন বাঁধ রয়েছে। বাকি দীর্ঘ যে বামতীর তা অরক্ষিত রয়েছে। ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদী শাসনে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের কাজ চলছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নদী ভাঙনরোধ সম্ভব হবে।
চাঁদপুরে সাহরির সময় খাবার গরম করতে লাইনের গ্যাসের চুলা জ্বালালে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে শহরের কোড়ালিয়ায় সাহাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালি সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে এক কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন।
১৩ মিনিট আগেমাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। আজ রোববার সকালে আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২০ মিনিট আগেরংপুরে চাঁদা দাবির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে