জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা প্রায় তিন কোটি টাকা বিগত ৫ বছরেও আদায় হয়নি। ফলে পুঁজি হারিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। চামড়া কেনার কোনো রকম প্রস্তুতি নিতে পারেননি পুঁজি সংকটে থাকা ব্যবসায়ীরা। বকেয়া টাকা আদায় ও মূলধনের সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ী এ ঈদে চামড়া কিনতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরে চামড়া গুদাম নামে একটি মহল্লা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আর নেই চামড়া গুদামগুলো। পাকিস্তান আমলে এটি উত্তরাঞ্চলে চামড়া ব্যবসার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এ আড়তে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও রংপুরের ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে আসতেন। এসব চামড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে রেলপথে পাশের দেশ ভারতে চলে যেত। এর সুবাদে এখানে চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছিল। স্বাধীনতার পর এ শিল্প লোকসানের মুখে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় আড়তটি।
সূত্রমতে, বিগত এক যুগ আগে সৈয়দপুর থেকে ঈদের মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার চামড়া রপ্তানি হতো ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে। কিন্তু গত ৬-৭ বছর ধরে চামড়ার দরপতনের ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা। করোনা শুরুর আগের বছর থেকে ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা চামড়া কিনে ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করলেও সব পুঁজি রয়ে গেছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। বছরের পর বছর বকেয়া টাকা তুলতে না পেরে অনেকে আবার বাপ-দাদার আদি ব্যবসা ছেড়ে দেন। এখন সৈয়দপুরে চামড়া ব্যবসার সঙ্গে হাতেগোনা ১৩-১৪ জন ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী মো. সরফরাজ মুন্না আজকের পত্রিকাকে জানান, চামড়া ব্যবসায়ীরা ঈদে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে চামড়া কেনেন। ট্যানারিতে চামড়া বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ট্যানারি মালিকেরা সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছেন। একদিকে পুঁজি সংকট আর অপরদিকে লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারেও চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ৭০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তার লবণের দাম ১ হাজার ৬০ টাকা ছিল। এবারে তা বেড়ে গিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই এবারে বিশেষ করে ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে গেলে চামড়া ব্যবসায়ীরা পথে বসতে হবে। ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারাবে নিশ্চিত।
সরফরাজ মুন্না বলেন, ‘সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ট্যানারি মালিকেরা সেই মূল্যে কখনো চামড়া কিনতে চান না। আর এটি লবণযুক্ত মালামাল হওয়ায় আবার বেকায়দায় পড়ে তাঁদের দামে চামড়া দিতে অনেকটাই বাধ্য হই। সত্যিকারে ট্যানারি মালিকদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি।’
সৈয়দপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স আল আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত ৪-৫ বছর ধরে ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে আমরা স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। যার ফলশ্রুতিতে ব্যাংকগুলো নতুন করে ঋণও দিতে পারছেন না চামড়া ব্যবসায়ীদের। ফলে এবারে ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’
ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা প্রায় তিন কোটি টাকা বিগত ৫ বছরেও আদায় হয়নি। ফলে পুঁজি হারিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। চামড়া কেনার কোনো রকম প্রস্তুতি নিতে পারেননি পুঁজি সংকটে থাকা ব্যবসায়ীরা। বকেয়া টাকা আদায় ও মূলধনের সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ী এ ঈদে চামড়া কিনতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরে চামড়া গুদাম নামে একটি মহল্লা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আর নেই চামড়া গুদামগুলো। পাকিস্তান আমলে এটি উত্তরাঞ্চলে চামড়া ব্যবসার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এ আড়তে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও রংপুরের ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে আসতেন। এসব চামড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে রেলপথে পাশের দেশ ভারতে চলে যেত। এর সুবাদে এখানে চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছিল। স্বাধীনতার পর এ শিল্প লোকসানের মুখে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় আড়তটি।
সূত্রমতে, বিগত এক যুগ আগে সৈয়দপুর থেকে ঈদের মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার চামড়া রপ্তানি হতো ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে। কিন্তু গত ৬-৭ বছর ধরে চামড়ার দরপতনের ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা। করোনা শুরুর আগের বছর থেকে ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা চামড়া কিনে ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করলেও সব পুঁজি রয়ে গেছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। বছরের পর বছর বকেয়া টাকা তুলতে না পেরে অনেকে আবার বাপ-দাদার আদি ব্যবসা ছেড়ে দেন। এখন সৈয়দপুরে চামড়া ব্যবসার সঙ্গে হাতেগোনা ১৩-১৪ জন ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী মো. সরফরাজ মুন্না আজকের পত্রিকাকে জানান, চামড়া ব্যবসায়ীরা ঈদে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে চামড়া কেনেন। ট্যানারিতে চামড়া বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ট্যানারি মালিকেরা সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছেন। একদিকে পুঁজি সংকট আর অপরদিকে লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারেও চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ৭০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তার লবণের দাম ১ হাজার ৬০ টাকা ছিল। এবারে তা বেড়ে গিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই এবারে বিশেষ করে ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে গেলে চামড়া ব্যবসায়ীরা পথে বসতে হবে। ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারাবে নিশ্চিত।
সরফরাজ মুন্না বলেন, ‘সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ট্যানারি মালিকেরা সেই মূল্যে কখনো চামড়া কিনতে চান না। আর এটি লবণযুক্ত মালামাল হওয়ায় আবার বেকায়দায় পড়ে তাঁদের দামে চামড়া দিতে অনেকটাই বাধ্য হই। সত্যিকারে ট্যানারি মালিকদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি।’
সৈয়দপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স আল আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত ৪-৫ বছর ধরে ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে আমরা স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। যার ফলশ্রুতিতে ব্যাংকগুলো নতুন করে ঋণও দিতে পারছেন না চামড়া ব্যবসায়ীদের। ফলে এবারে ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’
নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
১৮ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৩ ঘণ্টা আগে