Ajker Patrika

তিস্তার সেচনালায় পাট জাগে ভরছে তলদেশ, ইরি সেচে শঙ্কা 

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
তিস্তার সেচনালায় পাট জাগে ভরছে তলদেশ, ইরি সেচে শঙ্কা 

নীলফামারী ও দিনাজপুরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচের নালায় পাট জাগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। চাষিরা নালার দুই পাশের মাটি কেটে পাট জাগ দেওয়ায় ভরে যাচ্ছে খালের তলদেশ। এতে ইরি-বোরো মৌসুমে নালা দিয়ে সেচের পানি প্রবাহের ব্যাঘাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা। 

এদিকে ডোবা ও খালে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাটগাছ শুকিয়ে যাওয়ার ভয়ে সেচনালায় পাট জাগ দিচ্ছেন বলে জানান পাটচাষিরা। 

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয় তিস্তা ব্যারেজ। উত্তরের জেলা নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট ও বগুড়ার ৩৫টি উপজেলায় সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন করা হয় এই প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পের ৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দিনাজপুরের প্রধান নালায় পাটচাষিরা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেওয়ায় তলদেশ ভরে যাচ্ছে। এতে আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের পানি প্রবাহের ব্যাঘাত ঘটবে। 

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, পাটের মৌসুমে পাট জাগ ও বর্ষার সময় মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট বাঁধ দেওয়ায় নালাটি কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু হয়ে গেছে। এর ফলে ইরি-বোরো খেতে সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি সঠিকভাবে পৌঁছায় না। তখন বাধ্য হয়ে ইরি-বোরো মৌসুমে অগভীর নলকূপের ব্যবস্থা করতে হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ঠিকমতো সেবা না পেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্ধারিত বাৎসরিক টাকা ঠিকই জমা দিতে হয়।’ 

তিস্তার সেচ প্রকল্পের দিনাজপুরের প্রধান নালায় দেওয়া পাট জাগ। ছবি: আজকের পত্রিকাদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার নলবাড়ী গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ আর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে বর্ষার পানি জমেনি। ছোট ছোট ডোবা ও খালগুলো শুকিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে তিস্তা প্রকল্পের নালায় পাট জাগ দিয়েছি। সঠিক সময়ে পাট জাগ না দিলে গাছগুলো শুকিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অনেক পাটচাষি।’ 

সেচনালায় পাট জাগ দেওয়ার বিষয়টি অবগত নন বলে জানান নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মূলত সেচনালা দেখভালের জন্য স্থানীয়ভাবে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি কোনো অভিযোগ জানায়নি। তিস্তা সেচ নালায় পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছু করা যাবে না। নালায় পাট জাগ দেওয়া হলে অবশ্যই পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ 

কথা হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ১৫ জুলাই থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়নি। এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৯ দিনে গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ডোবা, খাল বা জমির পানি শুকিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত