গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হাসানগঞ্জ রেলস্টেশনে ‘রামসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেনটি আটকে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি এই স্টেশন অতিক্রমের আগমুহূর্তে লাইনে দাঁড়িয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে ট্রেনটি থামিয়ে প্রায় ১০ মিনিট মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করেন তাঁরা। 

সভায় বক্তারা বলেন, রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই অঞ্চলের মানুষের প্রয়োজনীয় পরিবহন। কম সময় ও খরচে পীরগাছা কলেজ, বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় স্থানে যাতায়াত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে এই ট্রেনের কারণে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী রংপুর, দিনাজপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এই এলাকার অনেক মানুষ ওইমুখী। পাশাপাশি সহজ হবে কর্মজীবীদের যোগাযোগও। ফিরতি পথে জেলা শহর গাইবান্ধায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সে কারণে হাসানগঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি অত্যন্ত জরুরি। 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

হাসানগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজমুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির উপজেলা সহসভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম বাদশা, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল খালেক গাফলাদার, স্থানীয় সহকারী শিক্ষক মো. ফজলুল হক মণ্ডল, ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, উপস্থাপক মো. শাহাবুল ইসলাম প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটির জন্য দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষায় ছিল এ অঞ্চলের মানুষের। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলার বোনারপাড়া রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। 

রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোনারপাড়া রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (বীমুসিই) রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করার কথা রয়েছে। 

বোনারপাড়া রেলস্টেশন থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় ছেড়ে গিয়ে ট্রেনটি শেষ গন্তব্যে পৌঁছাবে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। ৯ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি ২৪টি রেলস্টেশন অতিক্রম করে পাড়ি দেবে ২৬৪ কিলোমিটার পথ, যার প্রতিটি স্টেশনেই ওঠানামা করবে যাত্রীরা। সর্বোচ্চ ৯০ টাকায় যাত্রীরা বোনারপাড়া থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত যেতে পারবে। আর সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা। ১০টি কোচের (বগি) এই ট্রেন যাত্রী বহন করতে পারবে ৬৭৮ জন।