শিপুল ইসলাম, রংপুর ও জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
বিমান আকাশে ওড়ে, মানুষ বিমানে চড়ে। মানুষও আকাশে ওড়ে। এমন চিন্তা ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মনে। তাই সে বিমানে উঠে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নপূরণের জন্য জমায় ১৫০ টাকা। সেই টাকা খরচ করে রংপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়ে ভিআইপি লাউঞ্জে। কিন্তু বিমানে আর ওঠা হয়নি তার। ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে দেয় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিশুর বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওডোবা এলাকায়। সে নগরীর হাজি তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের পাশের একটি ফার্নিচার দোকানে বিদ্যালয় ছুটির পর কাজ করে সে। গতকাল স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে ছিল। এরপর সে বিকেল ৪টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
আজ সোমবার ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তিন শতক জমির ওপর একটি টিনের ঘর। ঘরের সামনের চুলায় রান্না বসিয়েছেন তার দাদি। সেখানে বসে আছে ওই শিশু। তাকে ঘিরে প্রতিবেশীদের জটলা। সে তাদের শোনাচ্ছিল বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছানোর গল্প।
ওই শিশু জানায়, গতকাল আসরের আজানের পর বাড়ি থেকে বের হয় সে। ১০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসে। এরপর সেখানে বাস না পাওয়ায় আরও ১০ টাকা দিয়ে মেডিকেল মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে করে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে ৫০ টাকায় একটি রিকশা ভাড়া করে বিমানবন্দরে যায়। সেখানে দুজন যাত্রীর পেছন নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছায় সে।
শিশুটি আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমার অনেক দিনের শখ বিমানে ওঠার। মানুষ নিয়ে বিমান কীভাবে আকাশে উড়ে তা দেখার। সে জন্য বিমানবন্দরে গেছি। বাইর থেকে ঘুরে দেখছি ভেতরে ঢোকা যাবে না। এরপর ভিআইপি গেট দিয়া ভেতরে ঢুকছি। আমাকে কোনো সিকিউরিটি গার্ড আনসার কেউ বাধা দেয়নি। ভেতরে ঢুকে বসেছিলাম। এরপর একজন অফিসার আমাকে জিজ্ঞাসাবা করে। আমি ঠিকানা বলি, তাঁরা কাউন্সিলরকে ফোন দেন, কাউন্সিলর মা-বাবাকে বললে আমাকে নিয়ে আসে। আমি বিমানে উঠতে পারিনি। আমার স্বপ্ন আমি বিমানের পাইলট হব।’
প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে যাওয়া শিশুটি ছোট। পাঁচ মাস বয়সে তাকে রেখে মা অন্যত্র চলে যায়। বাবা মিঠু মিয়া পেশায় অটোরিকশার চালক। বাবার আয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় সে শহরের একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। সেই দোকানমালিক তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। শিশুটি ছোটবেলা থেকেই চঞ্চলপ্রকৃতির।
শিশুটির বাবা মিঠু মিয়া জানান, আকাশে বিমান উড়লে তা দেখতে ছোটবেলা থেকেই ঘর থেকে বাইরে ছুটে যায় সে। তার খুব ইচ্ছে বিমানে চড়ার। সে প্রায় রাতে বাবাকে বলে একদিন বিমানে উঠবে। বিমান চালাবে।
মিঠু মিয়া বলেন, ‘অভাবের তকনে ছাওয়াটাক মাইনসের দোকানোত থুছু। তায় স্কুলোত ভর্তি করি দিছে। কাল সেই মহাজনের সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার কথা কয় বাড়ি থাকি বের হয়। রাইতোত শুনি ঢাকা নোয়ায় বিমান ওঠার জন্যে সৈয়দপুর গেইছে। পরে রাত ১১টার সময় বাড়ি নিয়া আসি।’
শিশুটির মহাজন স্থানীয় এ অ্যান্ড জেড ডোরস সিস্টেমের মালিক জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটি অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার মা নেই। আমিও নিজে এতিম। তাই তাকে আমার কাছে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছি। সে বিদ্যালয় ছুটির পর আমার ফার্নিচারের দোকান দেখাশোনা করে। প্রায় আমাকে বিমানে ওঠার কথা বলত সে।’
হাজি তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম বলেন, ‘শিশুটি আমার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে আসার পর বিমানবন্দরে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। তার মা নেই, কেয়ার করার মতো কেউ নেই। তাকে অনুকূল পরিবেশ ও আর্থিক সহায়তা করলেও সে ভালো কিছু করবে।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রটোকলে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিতে নিরাপত্তা বেষ্টনীভেদ করে ভিআইপি লাউঞ্জে ওই শিশুর অনুপ্রবেশের বিষয়টি জেনেছি। এটা সিভিল অ্যাভিয়েশনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।’
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ১২ বছরের এক শিশু ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিমানের ফ্লাইটে উঠে পড়ে। পরে তাকে জিম্মায় নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ। সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত ছিল ওই ঘটনা।
বিমান আকাশে ওড়ে, মানুষ বিমানে চড়ে। মানুষও আকাশে ওড়ে। এমন চিন্তা ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মনে। তাই সে বিমানে উঠে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নপূরণের জন্য জমায় ১৫০ টাকা। সেই টাকা খরচ করে রংপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়ে ভিআইপি লাউঞ্জে। কিন্তু বিমানে আর ওঠা হয়নি তার। ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে দেয় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিশুর বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওডোবা এলাকায়। সে নগরীর হাজি তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের পাশের একটি ফার্নিচার দোকানে বিদ্যালয় ছুটির পর কাজ করে সে। গতকাল স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে ছিল। এরপর সে বিকেল ৪টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
আজ সোমবার ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তিন শতক জমির ওপর একটি টিনের ঘর। ঘরের সামনের চুলায় রান্না বসিয়েছেন তার দাদি। সেখানে বসে আছে ওই শিশু। তাকে ঘিরে প্রতিবেশীদের জটলা। সে তাদের শোনাচ্ছিল বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছানোর গল্প।
ওই শিশু জানায়, গতকাল আসরের আজানের পর বাড়ি থেকে বের হয় সে। ১০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসে। এরপর সেখানে বাস না পাওয়ায় আরও ১০ টাকা দিয়ে মেডিকেল মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে করে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে ৫০ টাকায় একটি রিকশা ভাড়া করে বিমানবন্দরে যায়। সেখানে দুজন যাত্রীর পেছন নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছায় সে।
শিশুটি আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমার অনেক দিনের শখ বিমানে ওঠার। মানুষ নিয়ে বিমান কীভাবে আকাশে উড়ে তা দেখার। সে জন্য বিমানবন্দরে গেছি। বাইর থেকে ঘুরে দেখছি ভেতরে ঢোকা যাবে না। এরপর ভিআইপি গেট দিয়া ভেতরে ঢুকছি। আমাকে কোনো সিকিউরিটি গার্ড আনসার কেউ বাধা দেয়নি। ভেতরে ঢুকে বসেছিলাম। এরপর একজন অফিসার আমাকে জিজ্ঞাসাবা করে। আমি ঠিকানা বলি, তাঁরা কাউন্সিলরকে ফোন দেন, কাউন্সিলর মা-বাবাকে বললে আমাকে নিয়ে আসে। আমি বিমানে উঠতে পারিনি। আমার স্বপ্ন আমি বিমানের পাইলট হব।’
প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে যাওয়া শিশুটি ছোট। পাঁচ মাস বয়সে তাকে রেখে মা অন্যত্র চলে যায়। বাবা মিঠু মিয়া পেশায় অটোরিকশার চালক। বাবার আয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় সে শহরের একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। সেই দোকানমালিক তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। শিশুটি ছোটবেলা থেকেই চঞ্চলপ্রকৃতির।
শিশুটির বাবা মিঠু মিয়া জানান, আকাশে বিমান উড়লে তা দেখতে ছোটবেলা থেকেই ঘর থেকে বাইরে ছুটে যায় সে। তার খুব ইচ্ছে বিমানে চড়ার। সে প্রায় রাতে বাবাকে বলে একদিন বিমানে উঠবে। বিমান চালাবে।
মিঠু মিয়া বলেন, ‘অভাবের তকনে ছাওয়াটাক মাইনসের দোকানোত থুছু। তায় স্কুলোত ভর্তি করি দিছে। কাল সেই মহাজনের সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার কথা কয় বাড়ি থাকি বের হয়। রাইতোত শুনি ঢাকা নোয়ায় বিমান ওঠার জন্যে সৈয়দপুর গেইছে। পরে রাত ১১টার সময় বাড়ি নিয়া আসি।’
শিশুটির মহাজন স্থানীয় এ অ্যান্ড জেড ডোরস সিস্টেমের মালিক জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটি অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার মা নেই। আমিও নিজে এতিম। তাই তাকে আমার কাছে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছি। সে বিদ্যালয় ছুটির পর আমার ফার্নিচারের দোকান দেখাশোনা করে। প্রায় আমাকে বিমানে ওঠার কথা বলত সে।’
হাজি তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম বলেন, ‘শিশুটি আমার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে আসার পর বিমানবন্দরে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। তার মা নেই, কেয়ার করার মতো কেউ নেই। তাকে অনুকূল পরিবেশ ও আর্থিক সহায়তা করলেও সে ভালো কিছু করবে।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রটোকলে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিতে নিরাপত্তা বেষ্টনীভেদ করে ভিআইপি লাউঞ্জে ওই শিশুর অনুপ্রবেশের বিষয়টি জেনেছি। এটা সিভিল অ্যাভিয়েশনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।’
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ১২ বছরের এক শিশু ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিমানের ফ্লাইটে উঠে পড়ে। পরে তাকে জিম্মায় নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ। সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত ছিল ওই ঘটনা।
রাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
৩১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগে