তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে প্রমত্তা তিস্তা নদী। ওই দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীর দুই তীরের কয়েকটি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। আর দুই উপজেলার লাখো মানুষের অপেক্ষার নাম একটি সেতু।
জানা যায়, তিস্তার পূর্ব তীরের জনগণকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম হয়ে রংপুরে আসতে পাড়ি দিতে হয় ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ। অথচ নদী পেরিয়ে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই রংপুর বিভাগীয় শহরে যাতায়াত করা যায়। চিঠি চালাচালি আর বরাদ্দ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন দুই উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা পারের মানুষ। একটি সেতুই বদলে দিতে পারে দুই উপজেলার চিত্র। কর্মসংস্থান হবে লাখো মানুষের।
সরেজমিনে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা ছাওলা ইউনিয়নের পানিয়ালের ঘাট দিয়ে খেয়ানৌকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। তিস্তার পূর্ব তীরে বসবাসকারী উলিপুর উপজেলার বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ এ পথে যাতায়াত করছেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াতের জীবনের ঝুঁকি থাকলেও নৌকায় সহজে যাতায়াত করা যায়। বর্তমানে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে। ফলে নৌকাগুলো ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করছে। এতে সময় বেশি লাগলেও মাত্র ৩০ টাকায় তিস্তা নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।
দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ দুই উপজেলার মাঝে তিস্তা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও চিঠি চালাচালি ও বরাদ্দ পাওয়াটাই এখন দুষ্কর। কুড়িগ্রামের উলিপুর ও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সীমান্তে তিস্তা নদীতে একটি সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের যাতায়াতসহ ব্যবসার প্রসার হবে বলে জানান তিস্তা পারের মানুষ।
উলিপুর উপজেলার ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য কুড়িগ্রাম হয়ে সড়কপথে ৫০ কিলোমিটার বেশি ঘুরে যেতে হয়। ফলে যাতায়াতসহ মালামাল পরিবহনে সময় ও অর্থ বেশি ব্যয় করতে হয়।
নদী পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াতের ঝুঁকির কারণে চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশিক্ষার্থী ঝরে পাড়ার হার আগের তুলনায় বেড়েছে।
কৃষক আবুল হোসেন জানান, শিশুশিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। তিস্তা নদীর ওপর সেতু হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান অনেক উন্নত হবে।
পীরগাছা মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সমাজ সেবক আব্দুছ ছালাম বলেন, ‘তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপিও এই সেতুর পক্ষে মত দিয়েছেন। আমরা চাই এ সরকারের আমলে যেন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।’
এ প্রসঙ্গে ছাওলা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা আলম বলেন, তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের অপেক্ষায় দুই উপজেলার হাজারো মানুষ। সেতু নির্মিত হলে যাতায়াতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, নদীর দুই পাশে কোথায় কী অবস্থায় আছে এবং নদীর কোন স্থানে সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ ও মতামত পাঠানো হয়েছে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে প্রমত্তা তিস্তা নদী। ওই দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীর দুই তীরের কয়েকটি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। আর দুই উপজেলার লাখো মানুষের অপেক্ষার নাম একটি সেতু।
জানা যায়, তিস্তার পূর্ব তীরের জনগণকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম হয়ে রংপুরে আসতে পাড়ি দিতে হয় ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ। অথচ নদী পেরিয়ে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই রংপুর বিভাগীয় শহরে যাতায়াত করা যায়। চিঠি চালাচালি আর বরাদ্দ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন দুই উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা পারের মানুষ। একটি সেতুই বদলে দিতে পারে দুই উপজেলার চিত্র। কর্মসংস্থান হবে লাখো মানুষের।
সরেজমিনে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা ছাওলা ইউনিয়নের পানিয়ালের ঘাট দিয়ে খেয়ানৌকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। তিস্তার পূর্ব তীরে বসবাসকারী উলিপুর উপজেলার বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ এ পথে যাতায়াত করছেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াতের জীবনের ঝুঁকি থাকলেও নৌকায় সহজে যাতায়াত করা যায়। বর্তমানে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে। ফলে নৌকাগুলো ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করছে। এতে সময় বেশি লাগলেও মাত্র ৩০ টাকায় তিস্তা নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।
দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ দুই উপজেলার মাঝে তিস্তা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও চিঠি চালাচালি ও বরাদ্দ পাওয়াটাই এখন দুষ্কর। কুড়িগ্রামের উলিপুর ও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সীমান্তে তিস্তা নদীতে একটি সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের যাতায়াতসহ ব্যবসার প্রসার হবে বলে জানান তিস্তা পারের মানুষ।
উলিপুর উপজেলার ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য কুড়িগ্রাম হয়ে সড়কপথে ৫০ কিলোমিটার বেশি ঘুরে যেতে হয়। ফলে যাতায়াতসহ মালামাল পরিবহনে সময় ও অর্থ বেশি ব্যয় করতে হয়।
নদী পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াতের ঝুঁকির কারণে চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশিক্ষার্থী ঝরে পাড়ার হার আগের তুলনায় বেড়েছে।
কৃষক আবুল হোসেন জানান, শিশুশিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। তিস্তা নদীর ওপর সেতু হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান অনেক উন্নত হবে।
পীরগাছা মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সমাজ সেবক আব্দুছ ছালাম বলেন, ‘তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপিও এই সেতুর পক্ষে মত দিয়েছেন। আমরা চাই এ সরকারের আমলে যেন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।’
এ প্রসঙ্গে ছাওলা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা আলম বলেন, তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের অপেক্ষায় দুই উপজেলার হাজারো মানুষ। সেতু নির্মিত হলে যাতায়াতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, নদীর দুই পাশে কোথায় কী অবস্থায় আছে এবং নদীর কোন স্থানে সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ ও মতামত পাঠানো হয়েছে।
অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
৪ ঘণ্টা আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
৪ ঘণ্টা আগেমাছির সংক্রমণ থেকে ফলসহ নানান সবজি রক্ষায় নতুন একটি পদ্ধতি এনেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর খান। দেশে প্রচলিত ট্র্যাপের মধ্যে সাধারণত লিউর ও সাবান-পানি ব্যবহৃত হয়, যার কার্যকারিতা বজায় রাখতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকেরা এটি
৪ ঘণ্টা আগেবর্ষা মৌসুমে বিলে থই থই পানি। তখন পাড়ি দিতে হয় নৌকায়। এরপর হেঁটে কাদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল কিছুদিন। আর খরা মৌসুমে বিলের মাঝখানে জেগে ওঠা ভাঙাচোরা রাস্তা। এভাবেই দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর চলাচল করছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ।
৪ ঘণ্টা আগে