পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ১৯
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ৪৮
Thumbnail image

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর তাঁতীপাড়া এলাকার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে (১৭) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে তিন আসামিকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল বারী এই দণ্ডাদেশ দেন।

আসামিরা হলেন জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাঁতীপাড়া এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান (২৯), দুদুমিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২১) ও রশিদুল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (২৩)। রায় শুনানির সময় আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার আসামি ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৯ বছর পর এই হত্যা মামলার রায় দেওয়া হলো। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর তাঁতীপাড়া এলাকার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েল ২০১৫ সালের ১৮ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দেউনিয়ার বাজারে হালখাতা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। ওই দিন তার বাবা সুলতান আলী ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে তিন দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ২০ জুন সুলতানের ভাই মহির উদ্দিন দেবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ২২ জুন পায়েলের বাবা ফরহাদ ও রশিদুলের কিছু কথা শুনে তাঁর সন্দেহ হয়। 

পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা নুরুজ্জামান, ফরহাদ ও রশিদুলকে আটক করেন। নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হলে তাঁরা শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দেবীগঞ্জ ওই তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী। এই মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত ওই তিন আসামির মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। 

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী এ বি এম জুলফিকার আলী নয়ন বলেন, ‘আমরা আদালতে ওই আসামি যে পায়েলকে হত্যা করেছে, তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’ 

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত