Ajker Patrika

মাদকাসক্তদের দখলে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল, সড়কে যাত্রী ওঠানামা 

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪, ২২: ৪৮
মাদকাসক্তদের দখলে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল, সড়কে যাত্রী ওঠানামা 

সারা বছরই কাদাপানি আর অপরিচ্ছন্ন। দূরে সড়কের পাশে দাঁড়ানো বাসে যাত্রী ওঠানামা করছেন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অপর দিকে সংস্কার না করায় মাদকাসক্তদের দখলে বাস টার্মিনালের মূল ভবন। এর পূর্ব পাশটা দখলে নিয়েছেন খোয়া-বালু ব্যবসায়ীরা। এমন চিত্র নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের। 

তবে চলতি বছরে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানান সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আধুনিক মানের টার্মিনাল নির্মাণ করতে বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্প একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করি, চলতি বছরে বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হবে।’ 

সূত্রমতে, প্রায় ২২ বছর আগে জেলা প্রশাসন টার্মিনালটি সৈয়দপুর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ছাড়াও রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল করে। টার্মিনালটি ২০ বছর ধরে মেরামত ও সংস্কার না করায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে টার্মিনালে আসেন, কিন্তু বাসে উঠতে পারেন না। 

তাঁরা সড়কের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করেন বাসের জন্য। ফলে টার্মিনাল ভবনটি দিনে-রাতে ব্যবহার করছে মাদকসেবীরা। যাত্রী ও শ্রমিকেরা টার্মিনালের বাইরে ও মসজিদের শৌচাগার ব্যবহার করছে। এতে নারী যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। 

পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পাদক মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভা প্রতিবছরই বাস টার্মিনাল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ রাখলেও কোনো কাজই করেনি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও বাস টার্মিনালের আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য ২ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু অর্থবছরের শেষ দিকে এসেও এখনো টার্মিনাল নির্মাণের কোনো ইঙ্গিত নেই। ফলে বাসচালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাসমালিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে বাধ্য হতে হবে।’ 

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ হোসেন শানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টার্মিনালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এবং পূর্ব দিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় রাতে টার্মিনাল এলাকায় বাস রাখা যাচ্ছে না। নিরাপত্তা না থাকায় বাসের যন্ত্রাংশ-ব্যাটারি চুরি হচ্ছে অহরহ। এতে মালিকেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পৌরসভার প্রতি আর আমাদের ভরসা নেই। তাদের কথা-কাজে কোনো মিল নেই। অথচ টোল ঠিকই আদায় করছে।’ 

তিনি বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের বালু-খোয়া ব্যবসায়ীদের টার্মিনালের পূর্ব অংশ ইজারা দিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ীরা দাপটের সঙ্গে টার্মিনাল দখলে নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ ছাড়া অব্যবহৃত ভবনটিতে মাদকসেবীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।’ 

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টার্মিনালে বালু বা খোয়া ব্যবসার জন্য কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। এর আগেও একটি মহল জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার খবর পেয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল দখল করে খোয়া-বালুর ব্যবসা। ছবি: আজকের পত্রিকা তিনি বলেন, ‘টার্মিনালটি পৌরসভার দখলে থাকলেও জেলা প্রশাসন কর্তৃক পৌরসভাকে হস্তান্তরের কোনো কাগজপত্র নেই।’ 

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. সিদ্দিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টার্মিনালটি জরুরি মেরামত প্রয়োজন। মহাসড়কে যাত্রী ওঠানামা করায় সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার পাশাপাশি ওই সড়কে মাঝেমধ্যে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই এটি নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত