জ্বালানি সাশ্রয়ে সৌর বিদ্যুৎ খাত গুরুত্বপূর্ণ: তৌফিক-ই-ইলাহী

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘জ্বালানি সাশ্রয় করতে সৌর বিদ্যুৎ খাত গুরুত্বপূর্ণ কেননা যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা কোনো সংকটে এই খাতে প্রভাব পড়ে না। প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ অনেক বেশি সময়োপযোগী ও কার্যকর।’ 

তৌফিক-ই-ইলাহী আরও বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের প্রায় ১২-১৩ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। এইজন্য জ্বালানি সাশ্রয়ে সৌর বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্ব দিতে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।’ 

আজ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের খানসামায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প পরিদর্শনে এসে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তৌফিক-ই-ইলাহী। উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। 

জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় কৃষকবান্ধব। তিনি চিন্তা করেন কীভাবে কৃষকদের সাহায্য করা যায়। সোলার ইরিগেশনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, কৃষকের জন্য সাশ্রয় হবে ও বিরাট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারব। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে আমরা সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দিতে চাই। এটা প্রধানমন্ত্রীও চান।’ 

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও নেসকোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জিএম সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ। 

এর আগে তৌফিক-ই-ইলাহী ওই এলাকায় স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শন ও উপকারভোগীদের খোঁজ-খবর নেন। এ সময় উপকারভোগীরা সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পের মাধ্যমে সুবিধা পাওয়ার কথা তাঁকে জানান। 

 ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৩২০ ওয়াটের ৪৫টি সোলার প্যানেল দিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় সেচ পাম্প নির্মাণ করেন স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান। এর মধ্যে সরকার প্রায় ১৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়। এই সেচ পাম্প দিয়ে প্রায় ২৫ একর আবাদি জমিতে সেচ দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এটা থেকে নির্ধারিত মূল্য পাবেন ওই পাম্পের স্বত্বাধিকারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত