অবশেষে বাবা-মাকে ফিরে পেল নিখোঁজ শিশু নীরব

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২১, ২৩: ১৮
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৪

নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু নীরব অবশেষে চার দিন পর বাবা-মাকে ফিরে পেল। আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানায় বাবা আজাদ খাঁয়ের হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়।

এর আগে, গত শনিবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের স্টেশন এলাকার সিএমবি রাস্তার সামনে থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ শিশুটিকে পেয়ে স্থানীয় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুর রহিমকে জানালে তার সহযোগিতায় থানা-পুলিশের হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়। সকালে বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট সোহাগ হায়দার খবর পেয়ে থানায় গিয়ে শিশুদের তথ্য নিয়ে খোঁজা শুরু করে। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রোববার (২২ আগস্ট) দুপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি নুরের সহযোগিতায় শিশুটির বাবাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। পরে সোমবার বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানা-পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবা আজাদ খাঁ বলেন, গত চার দিন ধরে নানা বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু নীরব। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বাংলানিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক এর মাধ্যমে ছেলের সন্ধান পাই। নীরব পঞ্চগড়ে সাংবাদিক সোহাগ হায়দার ও আবদুর রহিম এর মাধ্যমে থানায় রয়েছে। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার সহযোগিতা করায় সাংবাদিকসহ পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর থেকে আমতলী চান্দুরায় নানাবাড়িতে যায় শিশু নীরব। সেখান থেকে কাউকে না কিছু বলে ভুল করে ট্রেনে করে পঞ্চগড় চলে আসে। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানায় বাবা আজাদ খাঁ এর হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়। 

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা পিপিএম বলেন, শিশুটিকে তার বাবা মা'র কোলে ফিরিয়ে দিতে আজকের পত্রিকা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছিল অনেক বেশি। এমন সহযোগিতা করায় সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত