কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহিনী বাজারে বাসচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ঢাকাগামী দূরপাল্লার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ব্যক্তি ও অটোরিকশাকে চাপা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। 

আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ত্রিমোহিনী বাজার এলাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ। 

এদিকে নিহতদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন—অটোরিকশাচালক আব্দুল হান্নান (৪৫)। তিনি সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের টগরাইহাটের মৃত নজির হোসেনের ছেলে। নিহত অপর ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। 

স্থানীয়রা বলছে, শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘আমার পরিবহন’ নামে একটি বাস ত্রিমোহিনী বাজার মোড় অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পশ্চিমে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ব্যক্তি ও অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে স্থানীয় একটি দোকানে উঠে যায়। এতে করে ওই স্থানে থাকা অটোরিকশা চালকসহ ৬ ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল হান্নান নামে এক অটোরিকশাচালককে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর তিনজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, দোকানপাটের বারান্দা অবৈধভাবে বর্ধিত করায় ত্রিমোহিনী বাজার মোড়টি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও যানবাহনগুলো মাত্রাতিরিক্ত গতি নিয়ে বাজার এলাকা অতিক্রম করায় সব সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়। এসব বিষয়ে নজর না দিলে ভবিষ্যতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহিনুর রহমান শিপন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত ৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই জাহিদ বলেন, ‘নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে। এখনো তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। হান্নান নামে অপর ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও বাস সরিয়ে নিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’