রংপুর প্রতিনিধি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত দুই শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়ায় প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আজ শনিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য শেষে এক শিক্ষার্থী জানান, সম্মাননা স্মারক পাওয়া দুই শিক্ষক কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের উসকানিদাতা। বিষয়টি জানতে পেরে নাহিদ ইসলাম ফের মঞ্চে উঠে প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই দুই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ।
এ সময় ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারের দোসরীপনা করেছে, তাদেরকে সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যাদেরকে আজ সম্মাননা দেওয়া হলো, তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলাম লিখেছেন। তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।’
এ সময় আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। তাদেরকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এরপরই ফের মঞ্চে উঠে মাইকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যে অভিযোগটি তুলেছেন, আমি তা জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি এসেছে। ভিসি স্যারের কাছে আমারও আবেদন থাকবে, যেন আপনাদের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা অভিযোগ করলেন—এই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসর, তাদেরকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। একই মঞ্চ থেকে আমাকে যে সম্মাননাটি দেওয়া হয়েছে, এটি আমি গ্রহণ করছি না। হয়তো কোনো একদিন ফ্যাসিবাদ এই মুক্ত বেরোবিতে আসব এবং আপনাদের সব দাবিদাওয়া পূরণের সক্ষমতা নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব। সেদিনই হয়তো প্রকৃত সম্মাননাটি গ্রহণ করব। সবাইকে ধন্যবাদ।’
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এমন বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
আরও খবর পড়ুন:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত দুই শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়ায় প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আজ শনিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য শেষে এক শিক্ষার্থী জানান, সম্মাননা স্মারক পাওয়া দুই শিক্ষক কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের উসকানিদাতা। বিষয়টি জানতে পেরে নাহিদ ইসলাম ফের মঞ্চে উঠে প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই দুই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ।
এ সময় ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারের দোসরীপনা করেছে, তাদেরকে সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যাদেরকে আজ সম্মাননা দেওয়া হলো, তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলাম লিখেছেন। তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।’
এ সময় আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। তাদেরকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এরপরই ফের মঞ্চে উঠে মাইকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যে অভিযোগটি তুলেছেন, আমি তা জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি এসেছে। ভিসি স্যারের কাছে আমারও আবেদন থাকবে, যেন আপনাদের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা অভিযোগ করলেন—এই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসর, তাদেরকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। একই মঞ্চ থেকে আমাকে যে সম্মাননাটি দেওয়া হয়েছে, এটি আমি গ্রহণ করছি না। হয়তো কোনো একদিন ফ্যাসিবাদ এই মুক্ত বেরোবিতে আসব এবং আপনাদের সব দাবিদাওয়া পূরণের সক্ষমতা নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব। সেদিনই হয়তো প্রকৃত সম্মাননাটি গ্রহণ করব। সবাইকে ধন্যবাদ।’
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এমন বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
আরও খবর পড়ুন:
খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে এলাকাবাসীর চাপে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় বিষয়টি অবগত করতে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইয়াসা রহমান তপাদারকে ফোন করি।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের (২৫) তথ্য ও গ্রেপ্তারে সহায়তাকারীর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আজ বৃহস্পতিবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ পক্ষ থেকে...
২৯ মিনিট আগেবিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অগ্নিনিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৪ ঘণ্টা সেবা পেতে মোবাইল নম্বর চালুসহ খোলা হয়েছে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণকক্ষ। পুরো ইজতেমা ময়দান অগ্নিনিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৭৪ জনের জনবল। তাঁদের মধ্যে তাৎক্ষণিক অগ্নি দুর্ঘটনা মো
৩২ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা এখনো করেননি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ এ কথা বলেন। রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য উপদেষ্টার পদ থেকে তাদের পদত্যাগের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি
২ ঘণ্টা আগে