যুবলীগ নেতা হিসেবে আটক, ইসলামী আন্দোলনে নেতা পরিচয়ে মুক্তি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
Thumbnail image
ইসলামী আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে মুক্তি পেয়েছেন নানজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে যুবলীগের সাবেক এক নেতাকে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে থানা-পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রাম থেকে যুবলীগের সাবেক ওই নেতাকে আটক করে পুলিশ। রাতেই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

ওই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম নানজু (৫২)। তিনি সাবেক সেনা সদস্য এবং দাঁতভাঙা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি। তবে ২০১৩ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। জানা গেছে, বর্তমানে দলটির দাঁতভাঙা ইউনিয়ন শাখার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক।

পুলিশের হাতে আটকের পর বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন রফিকুল ইসলাম নানজু।

নানজু বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল আমাকে ঘিরে ফেলে। তারা বলে যে, ওসি সাহেব সালাম দিয়েছেন। থানায় গেলে জানানো হয়, আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতিকে খবর দেই। তিনি থানায় পৌঁছে ওসির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর জিম্মায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি থানা থেকে ছাড়া পাই।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রশ্নে নানজু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সর্বশেষ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলাম। ২০১৩ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি করি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কিংবা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি মাওলানা আক্তার হোসেন বলেন, ‘এক সময়ে যুবলীগ করার কারণে নানজুকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি থানায় যাই। পুলিশকে বলেছি, ২০১৩ সাল থেকে নানজুকে চিনি। তখন থেকে সে আমার সঙ্গে রাজনীতি করে। ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক প্রোগ্রাম তার নেতৃত্বে হয়। এক সময়ে যুবলীগ করলেও বর্তমানে সে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করে। পরে আমার কাছে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘প্রথমে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২০২৪ সালের একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। পরে যাচাই বাছাই করে দেখা গেল, তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২০২২ সালের একটি কমিটিতে রয়েছেন। তাই তাঁকে ওই মামলায় আমরা গ্রেপ্তার দেখাতে পারি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাঁদের অনুমতি সাপেক্ষে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত