অনলাইন ডেস্ক
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষরের একটি ছবি ভারতীয়দের কাছে আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয়রা ‘সবচেয়ে বড় সামরিক বিজয়ের’ প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছে এই ছবি। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ঘটনার প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ছবিটি সরানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেছেন, ‘ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় রয়েছে—ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের সময়। সেনাবাহিনীর দর্শনের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক সংযোগ তৈরি করতে আগের ছবিটি সরানো হয়েছে।’
নতুন যে চিত্রকর্মটি বসানো হয়েছে সেটির নাম ফিল্ড অব ডিডস’ বা ‘করম ক্ষেত্র’। যার অর্থ ‘কর্মভূমি’। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এই চিত্রকর্মটি সেনাবাহিনীকে ধর্মের রক্ষক, জাতির মূল্যবোধের রক্ষক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি একীভূত বাহিনী হিসেবে তুলে ধরে।
নতুন এই চিত্রকর্মটি এঁকেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল থমাস জ্যাকব।
চিত্রটির ব্যাকগ্রাউন্ডে তুষারঢাকা পাহাড়, ডান দিকে লাদাখের প্যাংগং লেক এবং বাঁ দিকে গরুড় (হিন্দু পুরাণে উল্লেখিত পক্ষীশ্রেষ্ঠ ও বিষ্ণুর বাহন) ও কৃষ্ণের রথ এবং চাণক্যের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের এক দিকপাল) উপস্থিতি রয়েছে। পাশাপাশি, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম যেমন ট্যাংক, অল-টেরেইন যান, পেট্রল বোট, দেশীয় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এবং অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের চিত্রও প্রদর্শিত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের মতে, নতুন চিত্রকর্মটি সেনাবাহিনীর অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে সংযুক্ত করার প্রতীক।
তবে নতুন চিত্রকর্মে প্যাংগং লেকের তীরে ‘অর্ধবস্ত্র-পরিহিত’ এক ব্রাহ্মণের চিত্র নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছে। এ বিষয়ে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘যদি ভারতীয়রা চাণক্যকে না চিনেন, তবে তাঁদের উচিত নিজেদের সভ্যতার ইতিহাস খুঁজে দেখা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন চিত্রকর্মটি বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত ভারতের উত্তর দিক থেকে আসা চ্যালেঞ্জের জন্য সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির প্রতিফলন এটি।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী স্পষ্ট করেছেন যে, এটি ১৯৭১ সালের চিত্রকর্ম সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধানের দুটি লাউঞ্জ রয়েছে। আত্মসমর্পণের চিত্রটি মানেকশ সেন্টারের লাউঞ্জে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতের সেনাপ্রধানের লাউঞ্জে যে ছবিটি আগে টাঙানো ছিল সেটির পটভূমি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের। ঐতিহাসিক ছবিটিতে দেখা যায়, পাকিস্তানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজি আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করছেন। তাঁর পাশে বসা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান ও বাংলাদেশ–ভারত যৌথ বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, ভাইস অ্যাডমিরাল কৃষ্ণন, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্বাগত সিং এবং মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষরের একটি ছবি ভারতীয়দের কাছে আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয়রা ‘সবচেয়ে বড় সামরিক বিজয়ের’ প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছে এই ছবি। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ঘটনার প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ছবিটি সরানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেছেন, ‘ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় রয়েছে—ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের সময়। সেনাবাহিনীর দর্শনের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক সংযোগ তৈরি করতে আগের ছবিটি সরানো হয়েছে।’
নতুন যে চিত্রকর্মটি বসানো হয়েছে সেটির নাম ফিল্ড অব ডিডস’ বা ‘করম ক্ষেত্র’। যার অর্থ ‘কর্মভূমি’। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এই চিত্রকর্মটি সেনাবাহিনীকে ধর্মের রক্ষক, জাতির মূল্যবোধের রক্ষক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি একীভূত বাহিনী হিসেবে তুলে ধরে।
নতুন এই চিত্রকর্মটি এঁকেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল থমাস জ্যাকব।
চিত্রটির ব্যাকগ্রাউন্ডে তুষারঢাকা পাহাড়, ডান দিকে লাদাখের প্যাংগং লেক এবং বাঁ দিকে গরুড় (হিন্দু পুরাণে উল্লেখিত পক্ষীশ্রেষ্ঠ ও বিষ্ণুর বাহন) ও কৃষ্ণের রথ এবং চাণক্যের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের এক দিকপাল) উপস্থিতি রয়েছে। পাশাপাশি, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম যেমন ট্যাংক, অল-টেরেইন যান, পেট্রল বোট, দেশীয় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এবং অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের চিত্রও প্রদর্শিত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের মতে, নতুন চিত্রকর্মটি সেনাবাহিনীর অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে সংযুক্ত করার প্রতীক।
তবে নতুন চিত্রকর্মে প্যাংগং লেকের তীরে ‘অর্ধবস্ত্র-পরিহিত’ এক ব্রাহ্মণের চিত্র নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছে। এ বিষয়ে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘যদি ভারতীয়রা চাণক্যকে না চিনেন, তবে তাঁদের উচিত নিজেদের সভ্যতার ইতিহাস খুঁজে দেখা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন চিত্রকর্মটি বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত ভারতের উত্তর দিক থেকে আসা চ্যালেঞ্জের জন্য সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির প্রতিফলন এটি।’
সেনাপ্রধান দ্বিবেদী স্পষ্ট করেছেন যে, এটি ১৯৭১ সালের চিত্রকর্ম সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধানের দুটি লাউঞ্জ রয়েছে। আত্মসমর্পণের চিত্রটি মানেকশ সেন্টারের লাউঞ্জে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতের সেনাপ্রধানের লাউঞ্জে যে ছবিটি আগে টাঙানো ছিল সেটির পটভূমি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের। ঐতিহাসিক ছবিটিতে দেখা যায়, পাকিস্তানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজি আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করছেন। তাঁর পাশে বসা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান ও বাংলাদেশ–ভারত যৌথ বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, ভাইস অ্যাডমিরাল কৃষ্ণন, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্বাগত সিং এবং মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব।
বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, এটি ‘দুঃখজনক’। টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ইস্যুতে এক চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস। তিনিই টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠার
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন সিনেটের শুনানিতে কঠিন সময় পার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মনোনীত পিট হেগসেথ। শুনানিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও অতীতের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে কঠোর প্রশ্ন করা হয়। তবে নতুন করে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, হেগসেথ তাঁর সন্তানদের নাম বলার সময় এক সন্তানের নাম ভুলে গিয়েছিল
১১ ঘণ্টা আগেটিউলিপ সিদ্দিক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে ‘দুর্বল নেতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা কেমি বাডেনক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেমেটার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি এক পডকাস্টে ভারতের নির্বাচন নিয়ে একটি মন্তব্য করে বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২৪ সালে ভারতসহ অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলগুলো পরাজিত হয়েছে।’
১১ ঘণ্টা আগে