চিরিরবন্দরে জমে উঠেছে গরুর হাট, ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি

মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ১৪: ৫৯
আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, ১৫: ৪১

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট রানীরবন্দর হাট। ইতিমধ্যে ছোট-বড় নানা ধরনের গরুতে ভরে গেছে হাট। তবে গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।  

আজ বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠেছে রানীরবন্দর গরুর হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ছোট-বড়, ষাঁড়-বলদ, বকনা-গাভি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি চোখে পড়েছে।

উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের খামারি মো. আবদুল্লা হাটে বিক্রির জন্য পাঁচটি ষাঁড় এনেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি গরুর দাম চাইছেন ৭৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। 
  
অপর খামারি বেলাল জানান, গরুর খাবারের দাম বেশি। বছরে একটি গরুর পেছনে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে পোষাবে না।

খানসামার গোয়ালডিহি গ্রামের রহিমদ্দিন বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির উদ্দেশে এলাকার প্রতিটি কৃষক পরিবার গরু পালন করে। তিনি নিজে যে গরুটি হাটে এনেছেন বিক্রি করতে, সেটি ছয় মাস আগে কিনেছিলেন ৪০ হাজার টাকায়। গরুটি পুষে বড় স্বাস্থ্যবান করার পর এখন দাম চাইছেন ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ৬০-৬৫ হাজার টাকা দাম বলছেন। 

রানীরবন্দর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, গত বছর যে গরু ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেরকম গরু এখন ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হবে। ভারত থেকে গরু আসছে না। তাই দাম কিছুটা বেশি।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন এবার গরুর দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। ছবি: আজকের পত্রিকা গরু ব্যবসায়ী  হোসেন আলী বলেন, কোরবানি ঈদের জন্য আমরা এই হাট থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছি সিলেটে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি গরু ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।  

দেবীগঞ্জ থেকে গরু কিনতে আসা আনিসুর রহমান বলেন, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছর যে গরু ৬০ হাজার টাকা ছিল, সেই গরু এখন কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।  

এদিকে নজরুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘হাটে অনেক গরু এলেও দাম কমেনি। ঈদের আরও কয়েক দিন আছে। সামনে হাটে দাম কম হতে পারে তাই আজ চলে যাচ্ছি।’ 

হাটের ইজারাদার মো. আতিকুর রহমান বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে মাইক দিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল সারফারাজ হোসেন বলেন, এই উপজেলায় প্রায় ২৮ হাজার গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে । শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরণ করায় এখানকার পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এগুলো চিরিরবন্দর হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন খামারিরা। এখানকার চাহিদা পূরণ করেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে পশু।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত