২৭ ঘণ্টায়ও সন্ধান মেলেনি তিস্তায় ডুবে যাওয়া দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩১
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৭

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজের ২৭ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজারসংলগ্ন তিস্তা নদীর অংশে গোসলে নেমে তলিয়ে যায়। এ দিন ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও তাদের সন্ধান পায়নি।

নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলেন—নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া আবাসনপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে মুন্না মিয়া (১৮) ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার মোনাব্বর হোসেনের ছেলে নাইস আহমেদ (১৯)। তাদের মধ্যে মুন্না গঙ্গাচড়া ডিগ্রী কলেজ ও নাইস আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মমতাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সন্ধানে সেখানে আমাদের ৩ ডুবুরিসহ ৬ সদস্যের টিম কাজ করছে। আমরা ধারণা করছি, পানির স্রোতের চাপ বেশি থাকায় লাশ হয়তো অনেক পেছনে চলে গেছে। এ জন্যই এত সময় লাগছে। তবে আমরা আশাবাদী আজকের মধ্যেই আমরা নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর সন্ধান পাব।’ 

নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান ইউএনও নাহিদ তামান্নাপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি অটো ভ্যানে করে ছয় বন্ধু গোসল ঘটনাস্থলে গোসল করতে আসে। এরপর তারা নদীতে নামলে ছয়জনই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে তাদের একজন কোনোরকমে সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি পাঁচজন সেখানেই হাবুডুবু খেতে থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকি দুজন সেখানেই তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কয়েকটি নৌকা নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

এ দিকে বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমবেদনা জানান।

 এ সময় ইউএনও নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ফায়ার সার্ভিসকে বলেছি, যতক্ষণ তাদের সন্ধান পাওয়া না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত