Ajker Patrika

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির ১০ অভিযোগ, ১১ সদস্যের অনাস্থা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির ১০ অভিযোগ, ১১ সদস্যের অনাস্থা

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন পরিষদের ১১ সদস্য। আজ শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান মো. আল আমিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মকবুল হোসেন। 

অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। 

দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নিয়মিত না। যিনি দায়িত্বে আছেন উনি দেশের বাইরে থাকায় আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

অনাস্থা প্রস্তাবে সই দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন-মো. মকবুল হোসেন, কাবিল উদ্দিন, আইয়ুব আলী, আজাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন সরকার, আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মোছা. শাহানা বেগম, মোছা. ছালমা বেগম, আয়শা বেগম। 

ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির দশটি অভিযোগ এনে তাঁর বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ আছে। ১২ ইউপি সদস্যের মধ্যে ১১ জনই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। 

অনাস্থা জানিয়ে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউপি সদস্যদের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা যেমন রাস্তাঘাট উন্নয়ন, সংস্কার, কালভার্ট নির্মাণ এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প সমূহের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য চেয়ারম্যানের কাছে প্রকল্প স্থাপন করলে তিনি সদস্যদের কথায় কোনোরূপ কর্ণপাত করেন না। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো সরাসরি বাতিল করে দেন। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণের কাছে তাঁরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। 

চেয়ারম্যান সদস্যদের মৌখিকভাবে কোনো আলোচনা কিংবা সভায় কোনো রেজুলেশন না করে সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা দুটি দোকান ঘরে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জামানত নিয়েছেন। জামানতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন। 

পরিষদের সব সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেন উল্লেখ করে অনাস্থায় অন্য সদস্যরা বলেছেন, সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিকভাবে বণ্টন করেন না তিনি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করেন এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ১১ ইউপি সদস্য। 

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মো. আল-আমিন আহম্মেদ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এসব অভিযোগ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত