আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেলের বিরুদ্ধে কলেজ চত্বরের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। তবে গাছ বেচে শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘বৈশাখী ভাতা’ দিয়েছেন বলে দাবি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের।
এর আগে কলেজটির সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ রিতা রাণী দেব ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদারের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সরকারের বরাদ্দ করা উদ্বৃত্ত বই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্য লিটন আলী বলেন, ‘রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কলেজ ছুটি থাকার সময় গত ১২ ও ১৩ এপ্রিল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেল এক অভিভাবক সদস্যের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ছয়টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। এর মধ্যে একটি কৃষ্ণচূড়া, একটি রেইনট্রি, একটি আমগাছ ও তিনটি ইউক্যালিপটাস গাছ আছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন বিক্রি করা ছয়টি গাছ মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান অভিভাবক সদস্য লিটন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। পরে আমরা তিনজন অভিভাবক সদস্য বিষয়টি নিয়ে তথ্য প্রমাণসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন সদরের ইউএনও।’
জেলা প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরেজমিনে ঘটনার তদন্তে গিয়ে ইউএনও কলেজ চত্বরে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। তদন্তে অভিযোগ ওঠা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন কোনো অনুমতি ছাড়া গাছগুলো কেটে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। ওই টাকা তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা দিয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন। সরকারি নিয়ম-নীতি না জেনে প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রি করাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ দাবি করে ক্ষমা চেয়েছেন।
তবে প্রতিষ্ঠানটির পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের সহাকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিসহ অনেক শিক্ষক কোনো টাকা পাইনি। তবে শুনেছি, কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী গাছ বিক্রির টাকা থেকে এক হাজার করে টাকা পেয়েছেন।’
কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের পূর্বপাশের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে এখনো কেটে নেওয়া গাছগুলোর গোড়া রয়েছে। সাধারণ মানুষের দৃষ্টি এড়াতে সেগুলো বালু দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারিনি। তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে সেটা জানিয়েছি।’
তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার ইউএনও রাসেদুল হাসান বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তিনি পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবেন।’ তবে প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু জানাতে অপারগতা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মসদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেলের বিরুদ্ধে কলেজ চত্বরের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। তবে গাছ বেচে শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘বৈশাখী ভাতা’ দিয়েছেন বলে দাবি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের।
এর আগে কলেজটির সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ রিতা রাণী দেব ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদারের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সরকারের বরাদ্দ করা উদ্বৃত্ত বই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্য লিটন আলী বলেন, ‘রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কলেজ ছুটি থাকার সময় গত ১২ ও ১৩ এপ্রিল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেল এক অভিভাবক সদস্যের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ছয়টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। এর মধ্যে একটি কৃষ্ণচূড়া, একটি রেইনট্রি, একটি আমগাছ ও তিনটি ইউক্যালিপটাস গাছ আছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন বিক্রি করা ছয়টি গাছ মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান অভিভাবক সদস্য লিটন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। পরে আমরা তিনজন অভিভাবক সদস্য বিষয়টি নিয়ে তথ্য প্রমাণসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন সদরের ইউএনও।’
জেলা প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরেজমিনে ঘটনার তদন্তে গিয়ে ইউএনও কলেজ চত্বরে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। তদন্তে অভিযোগ ওঠা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন কোনো অনুমতি ছাড়া গাছগুলো কেটে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। ওই টাকা তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা দিয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন। সরকারি নিয়ম-নীতি না জেনে প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রি করাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ দাবি করে ক্ষমা চেয়েছেন।
তবে প্রতিষ্ঠানটির পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের সহাকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিসহ অনেক শিক্ষক কোনো টাকা পাইনি। তবে শুনেছি, কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী গাছ বিক্রির টাকা থেকে এক হাজার করে টাকা পেয়েছেন।’
কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের পূর্বপাশের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে এখনো কেটে নেওয়া গাছগুলোর গোড়া রয়েছে। সাধারণ মানুষের দৃষ্টি এড়াতে সেগুলো বালু দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সালাউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারিনি। তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে সেটা জানিয়েছি।’
তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার ইউএনও রাসেদুল হাসান বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তিনি পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবেন।’ তবে প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু জানাতে অপারগতা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মসদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১২ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৪১ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে