খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সর্বদা থাকা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দিনাজপুরের খানসামা থানায় ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। খানসামা থানা ভবন ঘুরে দেখা যায়, ভবনের কলাম, বিম এবং ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। রডগুলোতে মরিচা ধরেছে। থানা ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে ইট বেরিয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝেই পলেস্তারা খসে পড়ে। এ ছাড়া দেয়ালজুড়ে বড় বড় ফাটল। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
জানা যায়, খানসামা থানা গঠন করা হয় ১৮৯১ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ব্রিটিশ আমলে থানাগুলো নদী তীরবর্তী স্থানে হওয়ায় খানসামা থানা আত্রাই নদীর তিরে উপজেলার গোবিন্দপুর নামক স্থানে এই থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিটিশ আমলে থানা ভবন নির্মাণ হওয়ার পরে সেটি অনুপযোগী হলে আশির দশকে আবার ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
খানসামা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ইন্সপেক্টর (তদন্ত), উপ–পরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপ–পরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলসহ প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য থানা ভবনের নিচতলায় বসে কিংবা অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় তলার ব্যারাকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য রাত্রিযাপন করেন। এ ছাড়া অস্ত্রাগার, হাজতখানা ও মালখানা রয়েছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খানসামায় মূল সড়কের পাশেই সীমানা প্রাচীরে ঘেরা থানা ভবন। মূল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই চত্বরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুল বাগানের সৌন্দর্য এবং ভবনের বাইরের অংশের নতুন রং দেখে ভালোই লাগবে। কিন্তু ভবনের ভেতরে ঢুকতেই মনে হবে, ‘বাইরে ফিটফাট আর ভেতরে সদরঘাট’! এই ভবনের খোদ ওসির কক্ষেই ফাটল। অন্যদিকে ইন্সপেক্টরের (তদন্ত) কক্ষ, সার্ভিস ডেস্ক, অপারেটর কক্ষ ও অফিসাররা যেসব কক্ষে বসে কাজ করছেন সেগুলোর অবস্থা আরও নাজুক।
এ ছাড়া মূল ভবনের পেছনে ওসির বাসভবন এবং মসজিদের পাশেই পুলিশ সদস্যদের টিনশেড ভবন অনেক পুরোনো। সেগুলো সংস্কার করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দিন মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে থানায় এসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকি। এতে আমরা মানসিক ভাবে টেনশন থাকি কখন কী হয়! বড় দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন ভবন প্রয়োজন।’
ভবনের এই দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে খানসামা থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানা ভবনের বর্তমান নাজুক অবস্থা সম্পর্কে অবগত করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দেবে।’
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘নতুন ভবনের নির্মাণের জন্য অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেন নতুন ভবন নির্মাণের ফলে পুলিশ সদস্যরা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সর্বদা থাকা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দিনাজপুরের খানসামা থানায় ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। খানসামা থানা ভবন ঘুরে দেখা যায়, ভবনের কলাম, বিম এবং ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। রডগুলোতে মরিচা ধরেছে। থানা ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে ইট বেরিয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝেই পলেস্তারা খসে পড়ে। এ ছাড়া দেয়ালজুড়ে বড় বড় ফাটল। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
জানা যায়, খানসামা থানা গঠন করা হয় ১৮৯১ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ব্রিটিশ আমলে থানাগুলো নদী তীরবর্তী স্থানে হওয়ায় খানসামা থানা আত্রাই নদীর তিরে উপজেলার গোবিন্দপুর নামক স্থানে এই থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিটিশ আমলে থানা ভবন নির্মাণ হওয়ার পরে সেটি অনুপযোগী হলে আশির দশকে আবার ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
খানসামা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ইন্সপেক্টর (তদন্ত), উপ–পরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপ–পরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলসহ প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য থানা ভবনের নিচতলায় বসে কিংবা অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় তলার ব্যারাকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য রাত্রিযাপন করেন। এ ছাড়া অস্ত্রাগার, হাজতখানা ও মালখানা রয়েছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খানসামায় মূল সড়কের পাশেই সীমানা প্রাচীরে ঘেরা থানা ভবন। মূল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই চত্বরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুল বাগানের সৌন্দর্য এবং ভবনের বাইরের অংশের নতুন রং দেখে ভালোই লাগবে। কিন্তু ভবনের ভেতরে ঢুকতেই মনে হবে, ‘বাইরে ফিটফাট আর ভেতরে সদরঘাট’! এই ভবনের খোদ ওসির কক্ষেই ফাটল। অন্যদিকে ইন্সপেক্টরের (তদন্ত) কক্ষ, সার্ভিস ডেস্ক, অপারেটর কক্ষ ও অফিসাররা যেসব কক্ষে বসে কাজ করছেন সেগুলোর অবস্থা আরও নাজুক।
এ ছাড়া মূল ভবনের পেছনে ওসির বাসভবন এবং মসজিদের পাশেই পুলিশ সদস্যদের টিনশেড ভবন অনেক পুরোনো। সেগুলো সংস্কার করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দিন মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে থানায় এসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকি। এতে আমরা মানসিক ভাবে টেনশন থাকি কখন কী হয়! বড় দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন ভবন প্রয়োজন।’
ভবনের এই দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে খানসামা থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানা ভবনের বর্তমান নাজুক অবস্থা সম্পর্কে অবগত করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দেবে।’
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘নতুন ভবনের নির্মাণের জন্য অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেন নতুন ভবন নির্মাণের ফলে পুলিশ সদস্যরা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৪ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৫ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে