রংপুরের তারাগঞ্জে বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত আল ইবাদত হোসেন পাইলট উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে একটি ফার্মেসিতে ওই তরুণীর সঙ্গে চেয়ারম্যান পাইলটের পরিচয় হয়। এর পর থেকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় তাঁদের যোগাযোগ হয়। একপর্যায়ে ওই তরুণীকে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাব দেন। এতে তরুণী অস্বীকৃতি জানালে নগদ অর্থ, বিভিন্ন জিনিসপত্র ও বিয়ে করে সংসার করার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান। এরপর একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
পরে বিয়ের জন্য চেয়ারম্যানকে চাপ দিলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলে চেয়ারম্যান বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেন। ১ অক্টোবর তরুণীকে বিয়ে করে রংপুরে ভাড়া বাসায় রাখার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান তাঁর তারাগঞ্জ শহরের কুর্শা আদর্শ স্কুলের সামনের বাসায় বিকেলে ডেকে আনেন। সেখানে রাত ২টার দিকে তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং পরদিন সকালে ওই তরুণীকে তাঁর বাসা থেকে চলে যেতে বলেন।
এ সময় তরুণী বিয়ের কথা বললে, চেয়ারম্যান বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। এরপর ওই তরুণীর পরিবার ৩ অক্টোবর বিয়ে করতে বললে চেয়ারম্যান পাইলট বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপর আজ তারাগঞ্জ থানায় পাইলটের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ওই নারীকে দিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করেছে।’
তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, ‘তরুণী থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে।’