শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘চিনির দামে মিষ্টির স্বাদ ভুলি গেছি, অ্যালা ভুলি যাওছি কাঁচা মরিচের ঝাল। বাপ-দাদার আমলেও মরিচের এমতোন দাম উঠে নাই। এক পোয়া মরিচ এক শ টাকা বাহে। তা হইলে একটা মরিচ ২ টাকা।’ আজ রোববার সকালে শহরের তারাগঞ্জ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে সবজি ব্যবসায়ী এমদাদুল হকের সঙ্গে এসব কথা বলছিলেন জলুবার গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন।
আজকের পত্রিকাকে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৫০ শতক জমি চাষাবাদ করে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। চাষাবাদের পাশাপাশি তাই দিনমজুরি করেন তিনি। ৬৫ টাকার চিনির দাম বেড়ে যখন ১২৫ টাকা হয়, তখন থেকেই চিনি খাওয়া বাদ দিয়েছেন। এখন কাঁচা মরিচ ও আদার যে দাম, তাতে এসবও বাদ যাবে।
পাশের দোকানে কাঁচাবাজার করছিলেন দৌলতপুর গ্রামের দিনমজুর রবি মিয়া (৩৫)। তিনি বলেন, ‘মরিচ-চিনির যে দাম, ঝাল-মিষ্টির স্বাদ ভুলি যাওছি। চিনির কেজি ১৪৫ টাকা, আদা ৫০০ আর মরিচ ৪০০ টাকা। দিনমজুরের আয়ের টাকা দিয়ে এখন আর সংসার চলছে না। কৌশলে জিনিসপাতির দাম বাড়িয়ে হামার মতো গরিব মানুষকে নিঃস্ব করি দেওচে। জিনিসপাতির দাম না কমলে জীবন বাঁচা কঠিন হয়া যাইবে।’
শুধু তারাগঞ্জ হাটের ক্রেতারা দামে ক্ষুব্ধ তা নন; রংপুরের সিটি বাজার, কামাল কাছনা বাজার, তারাগঞ্জ বাজার, ইকরচালী, পাগলা পীরসহ অন্তত সাতটি বাজার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঘুরে কাঁচা মরিচ, আদা ও চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এসব পণ্যের চড়া দামে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাটগুলোতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানভেদে কাঁচা মরিচ ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, আদা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ও চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা দরে। তবে কাঁচা বাজারে মরিচ-আদার চড়া দাম থাকলেও ক্রেতা কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় ও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কাঁচা মরিচ ও আদার চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে দাম বেড়েছে। আড়তে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
আজ বেলা ৩টায় রংপুর নগরীর কামাল কাছনা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ ও আদার সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। কোনো কোনো দোকানে কেজিখানেক কাঁচা মরিচ ও আদা রাখা রয়েছে। ওই বাজারের ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মরিচের কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। এত দামে কেউ মরিচ কিনতে চায় না।’
সফিকুল আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার সিটি বাজার থেকে দুই কেজি মরিচ এনেছিলাম। এখনো এক কেজিও বিক্রি হয়নি। আদা, মরিচের দাম বাড়লে বিক্রি কমে, লাভ হয় না; ক্রেতাদেরও কষ্ট হয়। আড়ত পর্যায়ে মরিচের দাম কমালে আমরাও অল্প দামে বেচতে পারব।’
কামলা কাছনা বাজারে কথা হয় শাহীপাড়া গ্রামের দিনমজুর পুতলু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাঁচা মরিচ দেশে আবাদ হয়, এর দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণ নাকি তিনি করতে পারবেন না। তাহলে কে মরিচ-আদার দাম নিয়ন্ত্রণ করবে? আমরা কবে দিনের কামাই দিয়ে দুই বেলা শান্তিতে খেয়ে বাঁচব? সরকারের প্রতি অনুরোধ, আমাদের মতো পাঁচ শ টাকা আয়ের মানুষগুলোকে বাঁচান, বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন।’
ওই বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জিনিসপাতির দাম চড়া, বেচাবিক্রি নাই। ব্যবসাত যদি বেচাবিক্রি না থাকে, তা হইলে এমনিতেই মন খারাপ থাকে। আমরা পাইকারিতে মাল কিনে খুচরা বিক্রি করি। কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। এর বেশি না। এখন হুদাই সবকিছুর দাম চড়া। ব্যবসায় মূলধনও বেশি লাগছে। এগুলো আড়ত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অবৈধভাবে কেউ ক্রেতার কাছে বেশি দাম নিতে পারে না। ভোক্তারা যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে, তাহলে তা খতিয়ে দেখে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘চিনির দামে মিষ্টির স্বাদ ভুলি গেছি, অ্যালা ভুলি যাওছি কাঁচা মরিচের ঝাল। বাপ-দাদার আমলেও মরিচের এমতোন দাম উঠে নাই। এক পোয়া মরিচ এক শ টাকা বাহে। তা হইলে একটা মরিচ ২ টাকা।’ আজ রোববার সকালে শহরের তারাগঞ্জ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে সবজি ব্যবসায়ী এমদাদুল হকের সঙ্গে এসব কথা বলছিলেন জলুবার গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন।
আজকের পত্রিকাকে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৫০ শতক জমি চাষাবাদ করে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। চাষাবাদের পাশাপাশি তাই দিনমজুরি করেন তিনি। ৬৫ টাকার চিনির দাম বেড়ে যখন ১২৫ টাকা হয়, তখন থেকেই চিনি খাওয়া বাদ দিয়েছেন। এখন কাঁচা মরিচ ও আদার যে দাম, তাতে এসবও বাদ যাবে।
পাশের দোকানে কাঁচাবাজার করছিলেন দৌলতপুর গ্রামের দিনমজুর রবি মিয়া (৩৫)। তিনি বলেন, ‘মরিচ-চিনির যে দাম, ঝাল-মিষ্টির স্বাদ ভুলি যাওছি। চিনির কেজি ১৪৫ টাকা, আদা ৫০০ আর মরিচ ৪০০ টাকা। দিনমজুরের আয়ের টাকা দিয়ে এখন আর সংসার চলছে না। কৌশলে জিনিসপাতির দাম বাড়িয়ে হামার মতো গরিব মানুষকে নিঃস্ব করি দেওচে। জিনিসপাতির দাম না কমলে জীবন বাঁচা কঠিন হয়া যাইবে।’
শুধু তারাগঞ্জ হাটের ক্রেতারা দামে ক্ষুব্ধ তা নন; রংপুরের সিটি বাজার, কামাল কাছনা বাজার, তারাগঞ্জ বাজার, ইকরচালী, পাগলা পীরসহ অন্তত সাতটি বাজার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঘুরে কাঁচা মরিচ, আদা ও চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এসব পণ্যের চড়া দামে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাটগুলোতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানভেদে কাঁচা মরিচ ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, আদা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ও চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা দরে। তবে কাঁচা বাজারে মরিচ-আদার চড়া দাম থাকলেও ক্রেতা কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় ও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কাঁচা মরিচ ও আদার চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে দাম বেড়েছে। আড়তে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
আজ বেলা ৩টায় রংপুর নগরীর কামাল কাছনা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ ও আদার সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। কোনো কোনো দোকানে কেজিখানেক কাঁচা মরিচ ও আদা রাখা রয়েছে। ওই বাজারের ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মরিচের কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। এত দামে কেউ মরিচ কিনতে চায় না।’
সফিকুল আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার সিটি বাজার থেকে দুই কেজি মরিচ এনেছিলাম। এখনো এক কেজিও বিক্রি হয়নি। আদা, মরিচের দাম বাড়লে বিক্রি কমে, লাভ হয় না; ক্রেতাদেরও কষ্ট হয়। আড়ত পর্যায়ে মরিচের দাম কমালে আমরাও অল্প দামে বেচতে পারব।’
কামলা কাছনা বাজারে কথা হয় শাহীপাড়া গ্রামের দিনমজুর পুতলু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাঁচা মরিচ দেশে আবাদ হয়, এর দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণ নাকি তিনি করতে পারবেন না। তাহলে কে মরিচ-আদার দাম নিয়ন্ত্রণ করবে? আমরা কবে দিনের কামাই দিয়ে দুই বেলা শান্তিতে খেয়ে বাঁচব? সরকারের প্রতি অনুরোধ, আমাদের মতো পাঁচ শ টাকা আয়ের মানুষগুলোকে বাঁচান, বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন।’
ওই বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জিনিসপাতির দাম চড়া, বেচাবিক্রি নাই। ব্যবসাত যদি বেচাবিক্রি না থাকে, তা হইলে এমনিতেই মন খারাপ থাকে। আমরা পাইকারিতে মাল কিনে খুচরা বিক্রি করি। কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। এর বেশি না। এখন হুদাই সবকিছুর দাম চড়া। ব্যবসায় মূলধনও বেশি লাগছে। এগুলো আড়ত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অবৈধভাবে কেউ ক্রেতার কাছে বেশি দাম নিতে পারে না। ভোক্তারা যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে, তাহলে তা খতিয়ে দেখে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে...
১৬ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে...
৪২ মিনিট আগে