রংপুর প্রতিনিধি
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কেন? আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। হয় তো বা রিফর্ম হতে পারে। আওয়ামী লীগের সব লোক যে দোষী তা তো নয়। যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। যারা নির্দোষ, কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না, জনপ্রিয় মানুষ, তারা কেন নির্বাচনে বঞ্চিত থাকবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হোক এমনটা চাই না। এটি নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি অন্তরায়। সে জন্য আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি বা যে দলেরই হোক না কেন তাদের প্রচলিত বিচারের আওতায় আনা হোক।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক রসিক মেয়র বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের ঘোষণা এখনো আসে নাই। হয় তো সংলাপে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে, কিন্তু সরকার এখনো তা গ্রহণ করেনি। আগামীতে যখন রাজনৈতিক সংলাপ হবে তখন জাতীয় পার্টিকে ডাকতেও পারে, আবার নাও ডাকতে পারে।
ডাকা, না ডাকা কোনো বিষয় নয়। কিন্তু আমরা উপদেষ্টার মুখের কথা শুনতে চাই। বাইরে থেকে কোনো প্রেশার গ্রুপ যদি একটা কথা বলে আর সে অনুযায়ী সরকার চলে তাহলে এ সরকার টিকবে না। তখন সরকার মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাবে। আমাদের সংলাপে ডাকবেন কি–ডাকবেন না তা যেন উপদেষ্টা বলেন, অন্য কেউ নয়।
তিনি বলেন, ‘১০০ দিন হয়ে গেল এমন কোনো দিন নেই যে, ঢাকায় কোনো রাস্তা বন্ধ করা হয়নি। একদিন সায়েন্স ল্যাব বন্ধ, অন্যদিন শাহবাগ বন্ধ, আরেকদিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের হরতাল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল তা ঘাটতি হয়ে গেছে। সে জন্য আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকারের যে সকল সংস্কারের কাজ রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করা।’
১৭ বছরের জঞ্জাল এক বছরেও পরিষ্কার করা সম্ভব না উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যে কয়েকটা দপ্তর সংস্কার করা প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করে আপনারা নির্বাচন দেন। আপনারা রোডম্যাপ দেন। ধারণা দেন যে, কত দিনের মধ্যে আপনাদের সংস্কার কাজ শেষ হবে, কত দিনের মধ্যে আপনারা নির্বাচনে যাবেন। তাহলে রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তারা অন্তত আশ্বস্ত হবে এবং প্রস্তুতি নিতে পারবে। এখন একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আমরা আছি।’
সাবেক রসিক মেয়র বলেন, ‘সরকারের অনেকে বলছে, সংস্কার করতে চার বছর লাগতে পারে। আবারও কেউ বলছে তারও বেশি। নানা ধরনের কথা তারা বলছেন। এতে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একজন উঁচু মানের মানুষ। কিন্তু তার রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা নেই, দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই।
তবে অর্থনৈতিক বিভাগ কিছুটা উন্নতি করেছে। বর্তমানে যিনি অর্থ উপদেষ্টা তিনি অতীতের অভিজ্ঞতা দিয়ে সামাল দিতে পেরেছেন। কিন্তু অন্যান্য বিভাগগুলো একেবারে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’
মোস্তফা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না। পুলিশ কাজ না করলে, সেনাবাহিনী দিয়ে কি পুলিশের কাজ হবে। নির্বাচনের কেন্দ্র পাহারা দেবে কে? পুলিশকে বিভাগকে সরকারকে সক্রিয় করতে হবে, বিচার বিভাগকে সংস্কার করতে হবে, এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এর পরপরই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সংশয় সকলের মাঝ থেকে চলে যাবে।’
এ সময় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কেন? আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। হয় তো বা রিফর্ম হতে পারে। আওয়ামী লীগের সব লোক যে দোষী তা তো নয়। যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। যারা নির্দোষ, কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না, জনপ্রিয় মানুষ, তারা কেন নির্বাচনে বঞ্চিত থাকবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হোক এমনটা চাই না। এটি নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি অন্তরায়। সে জন্য আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি বা যে দলেরই হোক না কেন তাদের প্রচলিত বিচারের আওতায় আনা হোক।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক রসিক মেয়র বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের ঘোষণা এখনো আসে নাই। হয় তো সংলাপে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে, কিন্তু সরকার এখনো তা গ্রহণ করেনি। আগামীতে যখন রাজনৈতিক সংলাপ হবে তখন জাতীয় পার্টিকে ডাকতেও পারে, আবার নাও ডাকতে পারে।
ডাকা, না ডাকা কোনো বিষয় নয়। কিন্তু আমরা উপদেষ্টার মুখের কথা শুনতে চাই। বাইরে থেকে কোনো প্রেশার গ্রুপ যদি একটা কথা বলে আর সে অনুযায়ী সরকার চলে তাহলে এ সরকার টিকবে না। তখন সরকার মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাবে। আমাদের সংলাপে ডাকবেন কি–ডাকবেন না তা যেন উপদেষ্টা বলেন, অন্য কেউ নয়।
তিনি বলেন, ‘১০০ দিন হয়ে গেল এমন কোনো দিন নেই যে, ঢাকায় কোনো রাস্তা বন্ধ করা হয়নি। একদিন সায়েন্স ল্যাব বন্ধ, অন্যদিন শাহবাগ বন্ধ, আরেকদিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের হরতাল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল তা ঘাটতি হয়ে গেছে। সে জন্য আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকারের যে সকল সংস্কারের কাজ রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করা।’
১৭ বছরের জঞ্জাল এক বছরেও পরিষ্কার করা সম্ভব না উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যে কয়েকটা দপ্তর সংস্কার করা প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করে আপনারা নির্বাচন দেন। আপনারা রোডম্যাপ দেন। ধারণা দেন যে, কত দিনের মধ্যে আপনাদের সংস্কার কাজ শেষ হবে, কত দিনের মধ্যে আপনারা নির্বাচনে যাবেন। তাহলে রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তারা অন্তত আশ্বস্ত হবে এবং প্রস্তুতি নিতে পারবে। এখন একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আমরা আছি।’
সাবেক রসিক মেয়র বলেন, ‘সরকারের অনেকে বলছে, সংস্কার করতে চার বছর লাগতে পারে। আবারও কেউ বলছে তারও বেশি। নানা ধরনের কথা তারা বলছেন। এতে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একজন উঁচু মানের মানুষ। কিন্তু তার রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা নেই, দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই।
তবে অর্থনৈতিক বিভাগ কিছুটা উন্নতি করেছে। বর্তমানে যিনি অর্থ উপদেষ্টা তিনি অতীতের অভিজ্ঞতা দিয়ে সামাল দিতে পেরেছেন। কিন্তু অন্যান্য বিভাগগুলো একেবারে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’
মোস্তফা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না। পুলিশ কাজ না করলে, সেনাবাহিনী দিয়ে কি পুলিশের কাজ হবে। নির্বাচনের কেন্দ্র পাহারা দেবে কে? পুলিশকে বিভাগকে সরকারকে সক্রিয় করতে হবে, বিচার বিভাগকে সংস্কার করতে হবে, এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এর পরপরই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সংশয় সকলের মাঝ থেকে চলে যাবে।’
এ সময় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩১ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
২ ঘণ্টা আগে