দলীয় কোন্দল, সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য রংপুর জেলা, মহানগর ও তিন উপজেলার আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের ঢাকায় জরুরি তলবে করেছে কেন্দ্র। আজ বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে। সেখানে জেলা, মহানগর ছাড়াও উপজেলা–ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এর আগে সবশেষ রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের অসহযোগিতা ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। রসিক নির্বাচনের পর রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এতে দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে আরও দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে এসবের পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিরসন, রংপুর মহানগর ও জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে দলের অবস্থান নিয়ে আলোচনার জন্য নেতাদের জরুরি তলব করা হয় বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
একই সঙ্গে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে আসছে সেগুলোর বর্তমান অবস্থা। দলীয় কোন্দল, এমপিদের জনপ্রিয়তাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনার হতে পারে বলেও কেউ কেউ জানান।
ঢাকায় অবস্থানরত কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নেতা কর্মীদের দ্বন্দ্ব নিরসন নয়। আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে জরুরি তলব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের যেসব কমিটির রয়েছে তা বহাল রেখে নির্বাচন কমিটি করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।’
জেলা ও মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন মাওলা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, কাউনিয়া ও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাদের জরুরি তলবে কেন্দ্রে ডাকা হয়েছে। এখন মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে।’