কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দীর সংখ্যা তিন গুণের বেশি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ১৯
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ৫৩

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিন গুণের বেশি। রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিচারাধীন মামলা ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারাগারে মোট বন্দী ৫৬২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ বন্দী ৫৪২ জন এবং নারী বন্দী ২০ জন।

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তথ্যমতে, গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা ওয়ারেন্টভুক্তসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১ ও ২ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতা-কর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। 

কারা সূত্র জানায়, জেলা কারাগারে চারটি পুরুষ ও দুটি নারী ওয়ার্ড মিলে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ বন্দী ধারণক্ষমতা ১৪৫ এবং নারী বন্দী ধারণক্ষমতা ১৮। কিন্তু ১৯৮৭ সালে যাত্রা করা কারাগারটিতে সব সময়ই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকেন। বন্দীর সংখ্যা বাড়লেও কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়নি।

এ ছাড়া কারাগারে টয়লেটের সংকটও রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে এক থেকে দেড় শ বন্দীর বিপরীতে টয়লেট রয়েছে মাত্র একটি। আর চার ওয়ার্ডের বন্দীদের জন্য দিবা টয়লেট রয়েছে মাত্র ২০টি। 

একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি বন্দী থাকায় ওয়ার্ডগুলোতে বসবাসের মানবিক পরিবেশ সংকটে পড়েছে। বন্দীরা গাদাগাদি করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামিনে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভেতরে থাকার খুব কষ্ট। এক রুমে অনেকজনকে রাখে। শুয়ে কাত হওয়ার মতো অবস্থা নাই। সত্য-মিথ্যা সব মামলার আসামিকে কারাগারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’ 

আরেকজন বলেন, ‘জেলের ভেতরে থাকার কোনো পরিবেশ নাই। ওয়ার্ডগুলোতে শুয়ে কেউ পাশ ফিরবে এমন অবস্থাও নাই। গাদাগাদি কইরা থাকতে হয়। টয়লেট যেতে হলেও লম্বা সিরিয়াল লাগে।’ 

 জেল সুপার মো. শফিকুল আলম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কারাগারে সব সময় ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকে। এ জন্য বন্দীদের একটু কষ্ট করেই থাকতে হয়। তবে বর্তমানে শীত শুরু হওয়ায় তুলনামূলক কম সমস্যা হচ্ছে। বন্দীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, আগামী বছর ভবন নির্মাণ করা হবে। তখন বন্দীদের আবাসনসংকট নিরসন হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত