Ajker Patrika

পলাশবাড়ীতে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ-পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ১০
গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহেল রানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহেল রানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার ও দফাদার) নিয়োগে নানা অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন ও হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিসহ চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে পরীক্ষায় নির্বাচিত করার। ফলে এ নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনর্নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সোহেল রানা নামে এক যুবক।

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিনভর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসনের কার্যালয়ে পাঁচটি ইউনিয়নে ছয়জন মহল্লার ও দুজন দফাদার (পদোন্নতি) পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। ইউনিয়নগুলো হলো কিশোরগাড়ী, মহদীপুর, বেতকাপা, মনোহরপুর ও হরিনাথপুর।

তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শুধু চেয়ারম্যান ও সচিবদের মধ্যে গোপন রাখা হয়। তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছে অর্থনৈতিক সুবিধা নেন। পরে নিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে যোগসাজশে তাঁদের সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নিয়োগ বঞ্চিত হন প্রকৃত মেধাবীরা। বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখায় পরীক্ষায় অংশ নেন মাত্র ২৭ জন প্রার্থী। বঞ্চিত হন কাঙ্ক্ষিত শত শত প্রার্থী।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ ছিলেন। গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এর পর থেকে আমি কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ী গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে ১৩ ডিসেম্বর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহল্লাদার হিসেবে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এরপর শুক্রবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিই। কিন্তু নিয়োগ কমিটি চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ফলাফল প্রকাশ করে।’

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিএসএসের তৃতীয় বর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। অপর দিকে নির্বাচিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাঁর কোনো সার্টিফিকেট নাই। সে ভালোভাবে নিজের নাম স্বাক্ষর করতে পারে না। প্রকাশ্যে পরীক্ষা নিলে আমি নিশ্চিত কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হব।’

এ নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পুনর্নিয়োগ দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পলাশবাড়ী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ছয়টি শূন্য পদে সরাসরি মহল্লাদার নিয়োগ এবং দুটি পদে দফাদার (পদোন্নতি) এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান বলেন, গ্রামপুলিশ নিয়োগ বিধিমালায় অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও বহুল প্রচারের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট দৈনিক সংগ্রাম ও স্থানীয় পর্যায়ে দৈনিক ঘাঘট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যা যথারীতি উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়।

সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি চেয়ারম্যানদের সরবরাহ করা হয়। তাঁরা যদি পরিষদের নোটিশ বোর্ডে না টাঙিয়ে থাকেন—এ দায়ভার তাদের। তবে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে এবং আমার নোটিশ বোর্ডে এখনো আছে।

অপর দিকে হত্যা মামলার আসামিকে দফাদার নিয়োগের বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত জহুরুল ইসলাম নামে এক মহল্লাদার (চৌকিদার) ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হন। সে সময় তিনি বরখাস্তও হন। পরবর্তীকালে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্বপদে পুনর্বহাল করেন। গতকালের পদোন্নতি পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তারপরেও মামলার কাগজপত্র পুনরায় যাচাই করে তাঁর নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

পলাশবাড়ী থানার কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, ‘জহুরুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।’

মো. জহুরুল ইসলাম উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর গ্রামের আজিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পলাশবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর গ্রামে মৃত আ. মাজেদ প্রধানের স্ত্রী স্বপ্না বেগমের চারা ধানখেত থেকে সাদা মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাদা মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদা মিয়া পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সূত্রহীন এ মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেন তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা। পরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু ও উপজেলা আনসার-ভিডিবি কমান্ডার আউয়াল হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একজন মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেন ওই নারী কোনো কারণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। পরে অনেক সময় কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁদের মধ্যে সন্দেহ হলে তাঁরা ওই নারীকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ওই নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ।

সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁরা মাধনগর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে একটি টিম পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পেয়ে আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পেয়ে আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান।

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে প্রথমে বিমল তালুকদার নামের এক ব্যক্তির ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিমল আগুনের শিখা দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পান। পরে ঘরের বেড়া ভেঙে প্রাণে রক্ষা পান। তবে আগুনে তাঁর ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একই সময় বিমলের বসতঘরের পাশে অমল তালুকদারের ঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে একটি প্যান্টে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর ঘরের কয়েক শ ফুট দূরত্বে বাবুল দাশ নামে এক ব্যক্তির ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। টের পেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে টিন কেটে বের হন ওই পরিবারের সদস্যরা। এ সময় লিটন দাশ নামের এক ব্যক্তি আহত হন।

খবর পেয়ে আজ শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁরা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিয়াউল আহসানের পৈতৃক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪০
জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত
জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তাঁর বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

হামলার ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০-১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময় উত্তর দেবে: রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: 
বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এ আয়োজন করে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানা নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে আসছেন।

দোয়া ও আলোচনা সভায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি।’

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনো দিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।’

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনবে, আমি কিনব না। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মানুষ ও গণমাধ্যম। আপনাদের মোবাইল ও ক্যামেরার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন।’

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে সেটাকে আল্লাহর ফয়সালা হিসেবে মেনে নেব।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত